ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অনলাইনে সরকারি ট্রেজারি চালান চালু হচ্ছে

জসীম উদ্দিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১০

ঢাকা: অনলাইনে সরকারি ট্রেজারি চালান জমা দেওয়া এবং দর্শনার্থীদের সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য অনলাইন পাস পদ্ধতি চালু হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে এ দুইটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।



অনলাইনে ট্রেজারি চালান জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর ফলে গ্রাহকের ভোগান্তি দূর হবে এবং তারা ঘরে বসে সরকারি ফি জমা দিতে পারবে। অন্যদিকে অনলাইন পাস ব্যবস্থা চালুর ফলে একদিকে সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে পাশাপাশি দর্শনার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে বলে সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন।

অনলাইন চালান ও অনলাইন পাস ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসুচি এবং স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে পৃথক দুইটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হবে বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক নজরুল ইসলাম খান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এটুআই প্রকল্প ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বয়কারির ভূমিকা পালন করছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বুধবার অনলাইন চালান ও অনলাইন গেটপাস পদ্ধতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে’।

সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, বর্তমান পদ্ধতিতে সরকারি খাতে কোন ফি বা ট্যাক্স জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকে গিয়ে ট্রেজারি চালানের নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হয়। এতে নাগরিকদের অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়। এ পদ্ধতিতে ভুলের সম্ভাবনা থাকে বলে যথাযথভাবে ফরম জমা হয়না। অনেক সময় গ্রাহকের জমা দেওয়া ফি এক বছরেও  সরকারি খাতে জমা হয়না। এতে করে গ্রাহককে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

এসব সমস্যা বিবেচনা করে অনলাইনে চালান জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ পদ্ধতিতে অনলাইনে ট্রেজারি চালান জমা দেওয়া হবে। একই সাথে ওয়েব সাইট বা এসএমএসের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থ বিভাগের মতে, অনলাইনে চালান জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হলে জনসাধারণ ঘরে বসে এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। দ্রুত এবং যথাযথভাবে সরকারি ফি জমা হবে। আবার প্রয়োজনে বিভিন্ন সরকারি অফিস ওয়েবসাইট থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য ব্যবহার করতে পারবে।

এদিকে বর্তমানে সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য গেট পাস হিসাবে নির্ধারিত স্লিপে আমন্ত্রিত ব্যক্তির নাম ঠিকানা লিখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ তা গেটে পাঠানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়, পাস প্রদান প্রক্রিয়া মনিটরিং করার ব্যবস্থা অপ্রতুল বলে এতে স্বচ্ছতাও থাকেনা। নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মতে এতে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আবার কোন কারণে যদি পাসের সিøপ গেটে পৌঁছাতে দেরি হয় বা স্লিপ হারিয়ে যায় সেক্ষেত্রে অপেক্ষমান ব্যক্তির ভোগান্তি বাড়ে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মতে, অনলাইন পাস ব্যবস্থা চালু হলে দ্রুততার সঙ্গে পাস ইস্যু করা সম্ভব হবে। অনলাইনে পাস দেয়ার ফলে কারা পাস পাচ্ছে এবং দর্শনার্থী কোন মন্ত্রনালয়ে কার কাছে যাচ্ছে তা সংশ্লিস্ট সব কর্মকর্তা দেখতে পাবেন। এতে পাস প্রদান প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ হবে। গেটে রাখা কম্পিউটারে পাস দেখে দর্শনার্থীকে কার্ড দেয়া হবে।

বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ ধরনের গেট পাস ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৪৫ঘন্টা, ৩ জুলাই, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।