ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক চায় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
বাংলাদেশের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক চায় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা

ঢাকা: ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কন্স্যুলার, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা।

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে সেদেশে বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।



নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় বাংলাদেশের সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। সম্প্রতি তিনি দেশটির রাজধানী সারাজেভোতে সে দেশের প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যান ড. দ্রাগান কভিচের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে এ আগ্রহের কথা জানান কভিচ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দেশটির প্রেসিডেন্সির রাষ্ট্রাচার প্রধানসহ প্রেসিডেন্সি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী ডা. দিলরুবা নাসরিন এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল রাষ্ট্রদূত হজরুদ্দিন সমুনও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বেলাল কভিচের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। ধর্মীয় মেলবন্ধন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশ দু’টির সাদৃশ্যের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি ১৯৯০ দশকের শুরুতে দেশটিতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবদান স্মরণ করে দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

দেশটির প্রেসিডেন্সির চেয়ারম্যানের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ‘ভিশন ২০২১’ ব্যাখ্যা করেন রাষ্ট্রদূত বেলাল। উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কভিচ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক পর্যায়ে বিরাজমান সম্পর্ক আরও জোরদার করার অনেক সুযোগ রয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান ও দায়িত্ব পালনে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তার শুভেচ্ছা জানান এবং রাষ্ট্রপতিকে দু’পক্ষের সুবিধাজনক সময়ে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান কভিচ।

দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী মিরকো সারোভিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী আমের কাপেটানোভিকের সঙ্গেও বৈঠক করেন বেলাল।

বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধসামগ্রী, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চিনামাটির তৈজসপত্র, হিমায়িত মাছ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য আমদানির জন্য মিরকো সারোভিককে আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশিদের সহজে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ভিসা প্রাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরলে দ্রুত ও সহজে ভিসা পাওয়ার বিষয়ে দেখা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা ও ভবিষ্যতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিসা রহিতের প্রস্তাব করেছে।

পরে রাষ্ট্রদূত দেশটির ফরেন ট্রেড চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ড. ব্রুনো বজিকের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
পিআর/আরএইচএস/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।