ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইইউ’র সঙ্গে বিজনেস কাউন্সিল গঠন

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
ইইউ’র সঙ্গে বিজনেস কাউন্সিল গঠন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিজনেস কাউন্সিল গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইইউ পার্লামেন্টের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।



বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের এ কাউন্সিলে সম্পৃক্ত করা যায় কি-না, সেটাও ভেবে দেখা হচ্ছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আটটি দেশের দূতাবাস আছে ঢাকায়। বিজনেস কাউন্সিল গঠনে ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ।

ইইউ পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জিন ল্যামবার্ড। দলের অন্য তিন সদস্য হলেন- রিচার্ড হাউইন, ইভান স্টিফেন্স এবং ড. সাজ্জাদ করিম।

সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইইউ’র অফিসিয়াল সদস্য ক্রিস্টিন আরপ ও নেকানি অ্যাজপিরি লেজারদি, ঢাকায় ইইউ’র রাষ্ট্রদূত পিয়েরি মায়াউদন, মিনিস্টার কাউন্সেলর ও হেড অব পলিটিক্যাল, ইকোনমিক্স, ট্রেড, প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন ফ্রেডরিক মাদুরান্ড, কাটারজাইয়ানা এবং অর্থমার ওক্স।    

২০২১ সালের মধ্যে দেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ইইউ’র প্রতিনিধি দলটি গত একমাস ধরে দেশের ৩ হাজার ৮টি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন। তারা গার্মেন্টস এবং শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ দেখে খু্বই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

রানা প্লাজা এবং তাজরিন কারখানার ঘটনার পর বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মধ্যে যে বিরূপ ধারণা হয়েছিল সফরের মধ্য দিয়ে তা তাদের ভেঙে গেছে। আমাদের আন্তরিকতা দেখে তারা সার্বিকভাবে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকার ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিয়েছে। আমরা আইএলও’র সব নীতি অনুসরণ করে চলেছি। তা দেখে ইইউ প্রতিনিধি দলটি খুশি।

তোফায়েল বলেন, বিদেশি উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করতে আমরা উদার ইনভেস্টমেন্ট পলিসি গ্রহণ করেছি। শুল্ক হার শূন্যের কোটায় আনা হচ্ছে। গঠন করা হচ্ছে স্পেশাল ইকোনমিক জোন।  

মন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় আমরা ৩৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। উন্নত করা হবে এমন মুচলেকায় ৪৮টি পোশাক কারখানা আংশিক বন্ধ রাখা হয়েছে।

তোফায়েল বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ্য ব্যবসায়িক অংশীদার। দেশের মোট বাণিজ্যের ১২ শতাংশ হয় তাদের সঙ্গে।

তৈরি পোশাক ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ইইউ চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, বাইসাইকেল আমদানি করে থাকে। তাদের থেকে আমরা মেশিনারি ও ট্রান্সপোর্ট ইকুয়েপমেন্ট আমদানি করি বলেও জানান মন্ত্রী।
 
ইইউ প্রতিনিধি দল নেতা জিন ল্যামবার্ড ঢাকা সফরকে ইতিবাচক আখ্যায়িত করে বলেন, মন্ত্রীসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত আন্তরিক, খোলামেলা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এসএস/টিআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।