ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাবান্ধায় উন্মুক্ত হলো ‘স্বর্ণ দরজা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
বাংলাবান্ধায় উন্মুক্ত হলো ‘স্বর্ণ দরজা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড়: বাণিজ্য কার্যক্রম শুরুর দেড়যুগ পর অনেক জল্পনা-কল্পনা আর দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে চালু হলো ইমিগ্রেশন (মানুষ পারাপার) সুবিধা। এই ইমিগ্রেশন সুবিধার সঙ্গে উন্মুক্ত হলো চর্তুদেশীয় (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনাময় কেন্দ্রস্থলের স্বর্ণ দরজা।



বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এ ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) বিজয় কুমার সিং।

এ সময় তারা ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে ইমিগ্রেশন ভবনেরও উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠান অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, ভারতের দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য সুরিন্দর সিং আলুআলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার ফিরহাত হাকিম ও ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট মিনিস্টার গৌতম দেব।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হত প্রধান, সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশনের মহা পরিচালক মাসুদ রেজওয়ান পিএসসি, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোয়াজ্জেম আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, ডেপুটি হাইকমিশনার অভিজিত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

বাংলাবান্ধায় ইমিগ্রেশন চালু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি মানুষও সহজ প্রক্রিয়ায় চারটি দেশে যাতায়াত করতে পারবেন। এতে পঞ্চগড় জেলা পরিণত হবে পর্যটকদের প্রাণকেন্দ্রে। এছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের মিলন মেলায় পরিণত হবে পঞ্চগড়।

এই স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ায় শুধু তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় নয়, সমগ্র দেশের অর্থনীতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে পাল্টে যাবে হিমালয় কন্যা খ্যাত পঞ্চগড় জেলার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট। পঞ্চগড় পরিণত হবে শিল্প ও পর্যটন নগরীতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।