ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অবশেষে ট্যানারি সরছে মার্চে

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
অবশেষে ট্যানারি সরছে মার্চে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে একমত হয়েছে মালিক ও সরকার পক্ষ। আসছে মার্চেই রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাভারে যেতে শুরু করবে ট্যানারি শিল্প।


 
এর আগে ৩০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে বিসিক। তবে কোনো ট্যানারি সেখানে উৎপাদন শুরু করতে না পারায় নদীর পানি দিয়েই সচল রাখতে হয় সিইটিপি। এতে প্রায় কয়েক কোটি টাকা প্রতিদিন ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে সরকারকে।  
 
হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু গত ১০ জানুয়ারি ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। মন্ত্রীর আলটিমেটামের মধ্য ট্যানারি স্থানান্তর না হলে প্লট বাতিল করার কথা ছিল। যদিও একটি প্লটও বাতিল করা হয়নি।
 
তবে মন্ত্রীর আলটিমেটামে সজাগ হয়েছে ট্যানারি মালিকরা। তাইতো অবশেষে মার্চের মধ্যে ট্যানারি সাভারে নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।

ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন মাহমুদ মাহিন বাংলানিউজকে জানান, আগামী মাসে অর্থাৎ মার্চে কমপক্ষে ২৫ টি ট্যানারি সাভারে উৎপাদন শুরু করবে। সেই সক্ষমতা ইতোমধ্যে তাদের তৈরি হয়েছে। এটা হতে পারে স্বাধীনতা দিবসের উপহার। আশা করি মার্চের শেষ সপ্তাহে মন্ত্রীকে দিয়ে আমরা উদ্বোধন করাতে পারবো।
 
যেসব ট্যানারি সাভারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম এ্যাপেক্স, ঢাকা হাইড ট্যানারি, রিলায়েন্স ট্যানারি, আরএমজি ট্যানারি, ভূইয়া ট্যানারিসহ প্রায় ২৫টি ট্যানারি।
 
আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এসব ট্যানারি ‘হোয়াইট ব্লু’ যে মিশন দিয়ে মূল বর্জ্য অপসারণ করা হয়, সেটি সাভারে স্থানান্তরিত হবে। এই মেশিন সেখানে স্থানান্তর হলে ৭০ শতাংশ দুষণ কমে যাবে বলে জানান আরএমজি ট্যানারির মালিক মহিউদ্দিন মাহমুদ মাহিন।
 
ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে সিইটিপি প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল কাইয়ুম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তো সিইটিপি চালু করেছি ৩০ জানুয়ারি, কোন ট্যানারি না থাকায় নদীর পানি দিয়েই সচল রাখা হয়েছে। তবে আশার কথা ৭৮টি ট্যানারি মালিক বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এরমধ্যে ৪২টি তাদের চাহিদা পত্র (ডিমান্ড নোট) দিয়েছে। তার মানে আগামী মাসেই বেশকিছু ট্যানারি চলে আসবে।  
তিনি বলেন, আমাদের দুইটা মডিউলের মধ্যে পশ্চিম পাশ দিয়ে অর্ধেক ট্যানারি বর্জ্য পরিশোধন করতে পারবো।
 
তবে ট্যানারি মালিকদের আরেক সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানারস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, আমাদের কোন ট্যানারিরই জুনের আগে সেখানে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। চেষ্টা চলছে দ্রুত সেখানে যাওয়ার।
 
মন্ত্রীর আলটিমেটামের পর কারো প্লট বাতিল হয়নি বলে জানান তিনি। ট্যানারি মালিকদের এই নেতা বলেন, আমাদের উকিল নোটিশ দিয়েছিল, আমরা জবাব দিয়েছি, মার্চের মধ্যে সময় দিয়েছে সরকার। এরপরে হয়তো আরো এক, দুই মাস লাগতে পারে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
এসএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।