ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কাঁচাতুলা পরিবহনে কোটা পদ্ধতি স্থগিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৬
কাঁচাতুলা পরিবহনে কোটা পদ্ধতি স্থগিত ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: কাঁচাতুলা ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ নৌ-পথে পরিবহন খরচ কমাতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ এফবিসিসিআই’তে কমিটির বৈঠকে অনুষ্ঠিত হবে।

কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে মন্ত্রণালয়।
 
কমিটির বৈঠক শেষে দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পানগাঁও বন্দর দিয়ে কাঁচাতুলা ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানির যে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ কোটা ছিল, তাও স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আগের মতো সড়ক পথেও কাঁচাতুলা ও মেশিনারিজ পরিবহন করতে পারবে ব্যবসায়ীরা।
 
বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) বিকেলে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে জাহাজ মালিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
 
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মাধব রায়, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বস্ত্র) মো. রমজান আলী, বিকেএমইএ’র সাবেক ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।
 
বৈঠক শেষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন নৌ-পথের চাইতে সড়ক পথে কাঁচাতুলা ও মেশিনারিজ পরিবহনে খরচ কম, তাই কেউ বন্দর ব্যবহার করতে চায় না। সেজন্য আমরা বলেছি যেভাবে পানগাঁও বন্দরটি সচল রাখা যায়, সেভাবেই কাজ করতে হবে। এজন্য আমরা একটি ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। ওই কমিটির সুপারিশের পর পরিবহন খরচ কমিয়ে কিভাবে বন্দর আরও বেশি সচল করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হবে।
 
মন্ত্রী বলেন, আপাতত ৪০-৬০ শতাংশের যে কোটা ছিল, সেটি স্থগিত করা হয়েছে। এখন কেউ কাঁচাতুলা ও মেশিনারিজ সড়ক পথে পরিবহন করতে চাইলে করতে পারবেন।
 
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মোট পণ্য বোঝাই আমদানি কন্টেইনার এর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ১৭ হাজার ইউনিট (২০ ফুটের কন্টেইনার)। সে হিসেবে ১০ শতাংশ হারে কাঁচাতুলা ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ পরিবাহিত কন্টেইনারের সংখ্যা ৯১ হাজার ৭০০ টি। কাঁচাতুলা ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ পরিবাহিত কন্টেইনারের মধ্যে ৪০ শতাংশ হিসেবে এর পরিমাণ ৩৬ হাজার ৭০০টি।
 
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) হতে জানানো হয়েছে, পানগাঁওয়ের মাধ্যমে খালাসকৃত পণ্য চালানোর ব্যয় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে কম না হলে পানগাঁও এর মাধ্যমে তুলা ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি ও খালাস করা তাদের জন্য ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। তাই শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের বিকাশ ও দেশের সুতা ও বস্ত্রের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ ও রপ্তানি নিশ্চিতকল্পে বিটিএমএ’র পক্ষ থেকে কোটা পদ্ধতি তুলে দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে পানগাঁও বন্দরে পরিবহন খরচ কমানোর জন্য অনুরোধ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।