ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘অধিকাংশ উদ্যোক্তাই ব্যাংক ঋণ পায় না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৬
‘অধিকাংশ উদ্যোক্তাই ব্যাংক ঋণ পায় না’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দেখা গেছে গত এক দশকে আমাদের অর্থনৈতিক ইউনিটগুলো দ্বিগুণ হয়েছে। এসব ইউনিটের ৮০শতাংশই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।

এসব উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই ব্যাংক ঋণ পায়নি।

‘ডেভলপমেন্ট অব মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টার প্রাইজ (এমএসএমইএস) ইন বাংলাদেশ: শেয়ারিং এশিয়ান এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড এমএসএমইএস ব্যাংকিং ফেয়ার’ শীর্ষক আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শনিবার (৫ মার্চ) দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির তেজগাঁওস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে।  

যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিরডাপ ও ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট।

গভর্নর বলেন, এই উদ্যাক্তারা নিজের জমানো অর্থ ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করেছেন। আর্থিকখাতের দায়িত্ব এসব উদ্যোগগুলোকে ঋণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহযোগিতা করা। এক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের আরও বেশি করে সহযোগিতা করার উপর জোর দেন তিনি।

ড.আতিউর রহমান বলেন, আমাদের বড়ই সৌভাগ্য রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, কৃষি, শিল্প ও রপ্তানিতে সর্বত্র নারীর দৃপ্ত পদচারণা দেখতে পাচ্ছি। তাই নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ব্যাংকিংখাত থেকেই সহযোগিতা দিচ্ছি। কারণ পৃথিবীর সেই সব দেশের উন্নয়ন টেকসই হয়েছে, যেখানে নারীর ক্ষমতায় ঘটেছে।

আমাদের জনসংখ্যার বড় অংশই উদ্যমী ও তরুণ। এদের জন্য প্রয়োজন উদ্যমী কর্ম সংযোগ, কর্মসুযোগ ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

তাই কৃষি, এমএসএমইএস, নারী উদ্যোগ, সবুজ ও নানামাত্রিক অর্থায়নে ব্যাংকখাত সুযোগ করে দিয়েছে বলেন উল্লেখ করেন গর্ভনর।

গভর্নর বলেন, এসব সুযোগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা ও নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

রপ্তানির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদার নয়া ইঞ্জিন যুক্ত হওয়ার ফলে আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে সুষম, ভারসাম্য, টেকসই ও প্রাণোদীপ্ত। এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে আমাদের ক্ষুদে উদ্যোক্তাদের।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি’র চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফা কামাল মুজেরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট’র মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, সিরডাপের মহাপরিচালক ড. সিসেপ ইফেন্ডি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নির্মল চন্দ ভক্ত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) কনসালটেন্ট সুকোমল সিংহ চৌধুরী প্রমুখ।
 
দুইদিনব্যপী এই কনফারেন্সের প্রথম দিনে দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ছাড়াও ব্যাংক ও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৬
এসই/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।