ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে মগবাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৬
ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে মগবাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। নির্মাণশ্রমিকদের অসতর্কতার কারণে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করার নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না তারা।
 
শনিবার (০৫ মার্চ) কাজ চলাকালীন ফ্লাইওভারের উপর থেকে ‘ওয়্যার স্টেজিক জ্যাক’ নামে একটি ভারি যন্ত্রাংশ পড়ে যায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর ওপর। ঘটনায় ওই ব্যক্তি সামান্য আহত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার মোটরসাইকেলটি। সামনের চাকা পুরোপুরি ভেঙে যায় ওই যন্ত্রাংশের আঘাতে।   
 
এদিন দুপুরে মগবাজারের ইসমাইল লেনের এসপআরসি হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
 
আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্যক্তির নাম মো. নুরুল ইসলাম (২৭)। তিনি হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কর্মরত।
 
ঘটনা সম্পর্কে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মগবাজার এলাকা আমার কাজের আওতায় পড়ে। ইসমাইল লেন থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাংলামোটরের দিকে যাওয়ার জন্য বের হই। ঠিক এসপআরসি হাসপাতালের সামনে গেলেই ওপর থেকে কী যেনো আমার গাড়ির ওপর পড়ে। নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরেই মোটরসাইকেলসহ আমি মাটিতে পড়ে যাই।
 
‘ব্যথা পেয়ে উঠে দাঁড়াতে দেখি আমার মোটরসাইকেলের সামনের চাকা ভেঙে গেছে। বাম পায়ে সামান্য ব্যথা পাই। পরে আশেপাশে থাকা লোকজন এসে আমাকে তুলে একটি দোকানে নিয়ে বসায়। ’
 
তবে ফ্লাইওভারের কাজ চলাকালে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো বলে জানান তিনি।
 
‘ভারী ওই যন্ত্রাংশটি ঠিক আমার চলতি মোটরসাইকেলের সামনের চাকায় পড়ে যায়। অল্পের জন্য আমার মাথায় পড়েনি। ’
 
এদিকে ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, অল্পের জন্য এই মানুষটা বেঁচে গেছে। এমন একটি যন্ত্রাংশ মাথায় পড়লে তার আজ মৃত্যু হতো।
 
তিনি বলেন, প্রায় এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ, ফ্লাইওভারের এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সময় তারা রাস্তা বন্ধ করে কাজ করেন না। কাজের সময় রাস্তা বন্ধ করে রাখলেই পারেন লেবাররা। তাদের এখানে রাস্তা বন্ধ করার জন্য কোনো ব্যারিকেড নেই।
 
এ বিষয়ে ওই স্থানে কাজের দায়িত্বে থাকা ফোরম্যান মো. খাদেম আলী জানান, আমরা রাস্তা বন্ধ করে কাজ করতে গেলে পাবলিক চিল্লায়। ধমক দেয়, কেন রাস্তা বন্ধ করেছি তা নিয়ে আবার মারতেও আসে অনেকে। আমরা কী করবো! এগুলো কোম্পানিকে বললে তারা বলে, আমরা বিষয়টি দেখছি। তোমরা কাজ করো।  
 
ঘটনাস্থলে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিউল পৌঁছে ওই ভারী যন্ত্র ও ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলের আলামত হিসেবে থানায় নিয়ে যান।
 
তিনি বলেন, এ বিষয়ে যদি ভুক্তভোগী বা তার কোম্পানি মামলা করতে চায় তবে করতে পারেন।
 
এ বিষয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের কন্ট্রাক্টপ্রাপ্ত কোম্পানি ‘তমা গ্রুপ’র ইঞ্জিনিয়ার মো. রেদোয়ানের সঙ্গে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।   
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬
এসজেএ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।