ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘রিজার্ভের অর্থ চুরি, ডাকাতি না হ্যাকিং হয়েছে?’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৬
‘রিজার্ভের অর্থ চুরি, ডাকাতি না হ্যাকিং হয়েছে?’ ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি, ডাকাতি না হ্যাকিং হয়েছে তা সঠিকভাবে জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ধানের শীষ সমর্থক ফোরামের আয়োজনে ‘বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।



ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ প্রক্রিয়া সঠিক নয়। কী পরিমাণ অর্থ চুরি হয়েছে তা সঠিকভাবে দেশের জনগণকে জানানো উচিৎ ছিলো তার। ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত হয়নি। তার উচিত ছিলো প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা এবং টাকা উদ্ধার করা। অর্থ লোপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন না করে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের দাবি জানান এমাজ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আটশ’ কোটি টাকা চুরি হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এ অর্থের পরিমাণ আরো অনেক বেশি বলা হয়েছে। ফলে জনগণকে প্রকৃত ঘটনা থেকে আড়ালে রাখতে চাইছেন ক্ষমতাসীনরা।

সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের কথা উল্লেখ করে ড. এমাজউদ্দিন বলেন, সরকারি প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা একই। এসব বিষয়েও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্ষমতা নেওয়ার সময়ের কি অবস্থা ছিলো, বর্তমানে কি অবস্থায় আছেন? এ সব বিষয় নিয়ে ভাবুন। তারপর জনগণকে জানান।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ড. আতিউর রহমানের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি কোথায় সরে যাবেন? এভাবে সরে যেতে পারেন না। আটশ’ কোটি টাকা লোপাট হওয়ার ঘটনা জনগণের কাছে ব্যাখ্যা দিন।

নোমান বলেন, আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করেছেন। তিনি এক সময় রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। ফলে জনগণের সঙ্গে রাজনীতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ লোপাট করা হয়েছে।

দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ধানের শীষ সমর্থক ফোরামের সভাপতি ডা. মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৬/আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা
এফবি/ওএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।