ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনীতির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
অর্থনীতির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা

ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি ও ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। সে লক্ষ্যে এ পরিকল্পনাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।


 
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পরিপ্রক্ষিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্থায়নের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি কি হতে পারে সে বিষয়ে শনিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।   
 
‘লিংকিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড রেজাল্টস টু ইমপ্লিমেন্ট দ্য সেভেন ফাইভ ইয়ার প্ল্যান ইন দ্য কনটেস্ট টু দ্য এসডিজি’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন।
 
কর্মশালার আলোচনায় উঠে আসে, বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্থায়নের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গতি প্রকৃতি নিয়ে অতি সম্প্রতি ইআরডি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনের মূল দিকগুলো সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাতসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের কাছে তুলে ধরা ও তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় মতামত ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।     
 
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে জাতীয় উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ গবেষণাকর্ম প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে পারে। বাংলাদেশে উন্নয়ন অর্থায়নের সরকারি ও বেসরকারি, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক—সকল উৎসের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গতি প্রকৃতি নিয়ে এই প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি করা হলো।
 
কার্যকর উন্নয়ন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক ডেভেলপমেন্ট ইফেক্টিভনেস ফ্যাসিলিটির অর্থায়নে ‘ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স অ্যাসেসমেন্ট বাংলাদেশ (ডিএফএ)’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সমস্ত দিকে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। জাতীয় বাজেট শক্তিশালীকরণ, অভ্যন্তরীণ সম্পদের প্রবাহ, বেসরকারি খাতের অবদান, বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন  প্রভৃতি দিকগুলোর ওপর ভিত্তি করে কর্মশালায় পাঁচটি কর্মঅধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগেও এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ যথা ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, লাওস ও পাপুয়া নিউ গিনিতে এ ধরনের গবেষণাকর্ম পরিচালিত হয়েছে যা দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করেছে।

আশা করা হচ্ছে যে, ডিএফএ প্রতিবেদনটি সরকারের জাতীয় উন্নয়ন সহযোগিতা নীতিমালা প্রণয়ন এবং দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের সম্ভাব্য উৎসগুলোর পর্যালোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
 
জাতীয় বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ আবদুস সামাদ বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন টেমেসিস, সরকারের অর্থবিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।