ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

যশোরে ঝড়ে পেঁপে চাষিদের স্বপ্নভঙ্গ

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৬
যশোরে ঝড়ে পেঁপে চাষিদের স্বপ্নভঙ্গ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: যশোরে মঙ্গলবারের (০৬ এপ্রিল) কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পেঁপে চাষিদের স্বপ্ন। এদিন সন্ধ্যায় আধাঘণ্টার ঝড়ে ফলন্ত পেঁপে গাছ লুটিয়ে পড়েছে শেষ হয়ে গেছে কৃষকদের আশা।

 

ঝড়ে শুধু যশোর সদর উপজেলাতেই ২০ হেক্টর জমির পেঁপে বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বুধবার (০৬ এপ্রিল) সরেজমিনে সদর উপজেলার হৈবতপুর ও চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝড়ের কারণে সব ধরনের ফসলের কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে পেঁপে ও কলা বাগান সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সদর উপজেলার মথুরাপুর পশ্চিম মাঠে গিয়ে দেখা গেল, বাগানে পড়ে থাকা ফলন্ত পেঁপে গাছের পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন কৃষক মহিউদ্দিন (৭০)।

তিনি জানান, ৬ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। সবে মাত্র পেঁপের ফলন শুরু হয়েছে। এখনও বিক্রি শুরু করেননি। আগামী সপ্তাহ থেকেই পেঁপে বাজারে নেওয়া শুরুর আশা ছিল। কিন্তু ঝড়ে তার সব শেষ করে দিয়েছে।

একই এলাকার সিগন্যাল সেন্টার (এসিও) এলাকার কৃষক শেখ ওলিয়ার রহমান জানান, তিনি ৩ লাখ টাকা খরচ করে ১৩ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। ঝড়ে ৭৫ শতাংশ গাছ ভেঙে গেছে।

মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান, সরোয়ার হোসেন, শরিফুল ইসলাম জানান, তারা প্রত্যেকেই ৩ থেকে ৫ বিঘা পর্যন্ত জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। ঝড়ে তাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।   প্রতি বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করতে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে একই জমিতে ভালো ফলন হলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করা সম্ভব ছিল বলে তারা জানান।

সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি এলাকার পটল চাষি ওলিয়ার, শাহীন, তুহিন, জসিমসহ অনেকেই জানান, ঝড়ের কারনে  পটলের মাচারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন নতুন করে মাচা  তৈরি করতে হবে।

সরেজমিনে ঘুরে আরো দেখা যায়, ললিতাদহ গ্রামের পশ্চিম মাঠে ভুট্টা খেত ও কলা বাগানেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও সবজির রাজধানীখ্যাত সদর উপজেলার হৈবতপুর এলাকার মাঠে থাকা গ্রীষ্মকালীন সবজি ও ধানের জমিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম খালিদ সাইফুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী সদর উপজেলায় ২০ হেক্টর পেঁপে, ৫০ হেক্টর কলা, ১৬০ হেক্টর লিচু, ২০০ হেক্টর আম, সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর ধান ও ৩০০ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।