ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কার্নেট সুবিধার অপব্যবহার

জব্দ লেক্সাস, যাচাই হচ্ছে আরো এগারটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
জব্দ লেক্সাস, যাচাই হচ্ছে আরো এগারটি

ঢাকা: অজ্ঞাত পরিচয় মালিক ফেলে রেখে যাওয়ার পর সিলেটে গভীর রাতে কার্নেট সুবিধায় (শুল্কমুক্ত সুবিধা) যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা বিলাসবহুল একটি লেক্সাস কার জব্দ করা হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে কারটির সঙ্গে সিলেটের অধিবাসী যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিচয়দানকারী একজন মালিক ভুল স্বীকার করে হয়রানি না করতে একটি চিঠি রেখে যান।


এরপর দিবাগত রাত দুইটায় জব্দ করা হয় গাড়িটি।
 
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
   
অন্যদিকে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে পাঁচটি, গুলশানে তিনটি ও চট্টগ্রামে তিনটি গাড়ি জব্দ করে যাচাই করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
 
ড. মইনুল খান জানান, সিলেটে জব্দ করা প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সিলভার রঙের লেক্সাস ব্র্যান্ডের কারটি ২০০৭ সালে তৈরি করা।
 
২০১১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে কার্নেট সুবিধায় আমদানি করা হলেও পরে ফেরত পাঠানো হয়নি। কারটি রাস্তায় চলাচল করলেও কোনো রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।
 
তিনি জানান, কারটির সঙ্গে সিলেটের অধিবাসী যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিচয়দানকারী একজন মালিক ভুল স্বীকার করে হয়রানি না করতে একটি চিঠি রেখে গেছেন।
 
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ৪৯ বছর ধরে তিনি লন্ডনে (যুক্তরাজ্যে) বাস করেন এবং বাংলাদেশি ফরেস্ট ইনভেস্টর হিসেবে কাজ করেন।
 
২০১১ সালে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তিনি কার্নেট ডি পার্সেজ সুবিধায় এক বছর মেয়াদের জন্য কারটি আমদানি করেন।
 
ফরেন ইনভেস্টর হিসেবে মেয়াদ শেষে পুনরায় রি-নিউ করার সুযোগ পাবেন, এটা ভেবে গাড়িটি ফেরত পাঠাননি তিনি। তবে সরকার সে সুযোগ না দেওয়ায় তিনি গাড়িটি ব্যবহারও করেননি।
 
সে সুযোগ পাওয়ায় শুল্ক পরিশোধ তার পক্ষে সম্ভব নয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি গাড়িটি ফেরত ও দ্রুত কাগজপত্র জমা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
 
গাড়িটি দেশে রাখা অথবা পুনরায় বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুল্কাদি পরিশোধের সঠিক হিসেব ও হয়রানি না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন গাড়িটির মালিক।
 
ড. মইনুল খান বলেন, ‘কার্নেট সুবিধায় আমদানি করা গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। ভয়, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা তৈরির কারণে হয়তো ওই ব্যক্তি গাড়িটি ফেরত দিয়েছেন’।
 
তিনি আরো বলেন, ‘বাসা, বাড়ি, গ্যারেজসহ দেশের সব জায়গায় এসব গাড়ি ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। অপব্যবহার করা সব গাড়ি আমরা জব্দ করবো’।
 
মইনুল খান জানান, তেজগাঁওয়ে বিলাসবহুল পাঁচটি, গুলশানে তিনটি ও চট্টগ্রামে তিনটি গাড়ি জব্দ করেছি। যাচাই করা হচ্ছে- এসব গাড়ি একই সুবিধায় আমদানি করা কি-না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।