ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রথম জি-টু-জি অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৬
প্রথম জি-টু-জি অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর ছবি: পিয়াস-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ও চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিইআইজেড) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বেজার সঙ্গে দেশের প্রথম জি-টু-জি ভিত্তিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে এটি প্রথম চুক্তি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ও সিইআইজেড’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বাই ইয়ানবান এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সিইআইজেড ৭৭৪ একর জমিতে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। এর মাধ্যমে বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় হবে। চীনের সঙ্গে প্রথম জি-টু-জি’র ভিত্তিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন মাইলস্টোন। আশা করি, এ অর্থনৈতিক স্থাপনের মাধ্যমে চীন অবদান রাখবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম বলেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের নতুন মাত্রা যোগ হল।

সিইআইজেড’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বাই ইয়ানবান বলেন, সিইআইজেড সব সময় বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে উন্নয়নে অংশীদার হতে চায়। আগামী দু’বছরের মধ্যে বিশেষ এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শেষ করে চীনের বিনিয়োগকারীদের এ অঞ্চলে বিনিয়োগ নিশ্চিত করবে বলে জানান তিনি।

পবন চৌধুরী বলেন, সিইআইজেড দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ‘চাইনিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ উন্নয়নের কাজ করবে। উন্নয়নের পর এ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে ‘মিনি চায়না’।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে চীন সফরে সেদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে সমঝোতা স্বাক্ষর করেন। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর একনেকে ‘চাইনিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ৪২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।  

সিইআইজেড এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কেমিক্যাল, ফার্মাসিটিক্যাল, গার্মেন্টস, আইটি, কৃষি নির্ভর কারখানা, ডিজিটাল যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবে।

এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে এক মাইলফলক জানিয়ে তিনি বলেন, এতে প্রায় ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ও ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, চীন দূতাবাসের কাউন্সিলর অব ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল লি গুয়ানজেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৬
আরইউ/জিসিপি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।