ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দুই সিটিতে বসছে ‘উপ-কর’

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৬
দুই সিটিতে বসছে ‘উপ-কর’

ঢাকা: ‘উপ-কর’ নামে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আমদানি-রফতানি ও সেবার ওপর এনবিআর বর্হিভূত অতিরিক্ত একটি কর বসানো হচ্ছে।
 
সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ এর ৮২ ধারা অনুযায়ী এ কর বসানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

আইন প্রণয়নের ৭ বছর পর বিধিমালা প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
 
এ বিধিমালা প্রণয়নে এনবিআরের সহযোগিতা চেয়েছে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ। বিধিমালা হয়ে গেলে আগামী অর্থবছর থেকে উপ-কর কার্যকর করতে চায় দুই মেয়র।
 
বুধবার (০৩ আগস্ট) এনবিআরের সঙ্গে পার্টনারশিপ ডায়ালগে দুই মেয়র এনবিআরের সহযোগিতা চেয়ে এ করারোপের ঘোষণা দেন।
 
আইনের চতুর্থ তফসিলে বলা হয়, নগরীতে ভোগ, ব্যবহার বা বিক্রয়ের জন্য পণ্য আমদানির ওপর কর ও নগর হতে পণ্য রফতানির ওপর কর এবং সরকার কর্তৃক আরোপিত করের ওপর উপ-কর আরোপের বিধান রয়েছে।
 
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ডিএসসিসি হোল্ডিং ট্যাক্স, বাজার, ভূমি হস্তান্তর ফি থেকে সামান্য কিছু রাজস্ব আহরণ করে থাকে। হিসাব করে দেখেছি, যে রাজস্ব আসে তা খরচে মিটে যায়, উন্নয়নের জন্য কিছু থাকে না।
 
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী সরকার আরোপিত বিভিন্ন করের ওপর উপ-কর ধার্যের একটি সুযোগ রয়েছে। সিটি করপোরেশন অধিক্ষেত্র এলাকাগুলোতে আমদানি-রফতানিযোগ্য পণ্যের ওপর কর ধার্যেরে সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এর বিধিমালা এখনো প্রণয়ন হয়নি।
 
একটি বিধিমালা করে এখান থেকে কিছু রাজস্ব আহরণ করতে পারলে সিটি করপোরেশনের আর্থিক দৈন্যদশা থেকে মুক্ত হয়ে শহরের মানুষকে আরো বেশি সেবা দিতে পারবে।
 
এ নীতিমালা প্রণয়নে এনবিআরকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এর মাধ্যমে সিটি করপোরেশন সরকার, দাতা সংস্থার ওপর নির্ভর হতে হবে না।
 
যে রাজস্ব আহরণ করা হবে তার প্রত্যেকটি পয়সা এ শহরের নাগরিকদের জন্য স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলকভাবে ব্যয় করার আশ্বাস দেন সাঈদ খোকন।
 
মেয়র আনিসুল হক বলেন, সিটি করপোরেশন নাগরিকদের কাছ থেকে যে রেভিনিউ (রাজস্ব) পায় তা দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। যে রেভিনিউ কালেকশন হয় তা দিয়ে ব্যয় মেটানো যায় না।
 
তিনি বলেন, রেভিনিউ বিষয়ে সিটি করপোরেশন অ্যাক্ট থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। আজকে নাগরিকদের ভালো সেবা দেওয়ার প্রয়োজনে রেভিনিউ খুঁজে বের করতে হচ্ছে।
 
মেয়র আরো বলেন, এবার হোল্ডিং ট্যাক্স সমতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ৭ থেকে ৮টি খাত থেকে রেভিনিউ পেয়ে থাকে। গত সাতবছর আগে সরকার যে আইন করে দিয়েছে তার বিধিমালা প্রণয়নে এনবিআরের সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।
 
এবছর বাজেট ঘোষণা হয়ে গেছে, এ আইন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বিধিমালা হয়ে গেলে আগামী বছর থেকে এ আইন বাস্তবায়ন করা হবে। এতে বিপুল রেভিনিউ আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
 
আইনে আয়কর, মূসক, শুল্কের ওপর ১০ শতাংশ, অন্যান্য করের ওপর ১৫ শতাংশ হারে উপ-করারোপের কথা বলা হয়েছে। আগামী বছর থেকে উপ-করারোপের ফলে নাগরিকদের কাধে নতুন করে করের বোঝা যোগ হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৬
আরইউ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।