ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সবার ওপর করারোপ করা উচিত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৬
‘সবার ওপর করারোপ করা উচিত’ ছবি: বাদল- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সবার ওপর করারোপ করা উচিত মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এ বিষয়ে সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে প্রত্যেককে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সবাইকে বাধ্যতামূলক কর দিতে হবে।

সেটি ৫, ১০ ও ২০ টাকা হোক। সময় উপযোগী ন্যূনতম এ করারোপে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত ‘পে-রোল ট্যাক্স ও করনেট সম্প্রসারণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রাজস্ব বোর্ড সদস্য (কর পরিদর্শন) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন। পে-রোল ট্যাক্সের ওপর আলোচনা করেন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের কম্পটোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ। সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাব করেছি, এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হবে না জানি। তবে এখনও আমি এমন প্রস্তাব করছি। এর জন্য একটি সময় নির্ধারণ দরকার।

তিনি বলেন, এ নিয়ে সুশীল সমাজকে বলা উচিত। যাদের করযোগ্য আয় নেই তাদের বাদে যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে তাদের ওপর বাধ্যতামূলক করারোপ করার চেষ্টা নেওয়া উচিত।

দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এ করারোপ করা উচিত বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী।

পে-ট্যাক্স বিষয়ে মুহিত বলেন, বিভিন্ন দেশে রাজস্বে পে-রোল ট্যাক্সের অবদান ৩০ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে ৪ থেকে ৫ শতাংশ। আমাদের দেশে সরকারি কর্মকর্তারা পে-রোল ট্যাক্স দেয়। বেসরকারি খাতে পে-রোল ট্যাক্স বেশি পরিচিত নয়, এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।

এনবিআর এ বছর ৩ লাখ করদাতা বৃদ্ধির যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা সন্তোষজনক নয়, ১২ থেকে ১৫ লাখ করদাতায় উন্নীত করা খুবই ধীর গতির বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি লোকের দেশে ১৬ লাখও নয় মাত্র ১২ লাখ লোক কর দেন। আয়কর দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে অনেক বেশি। সঠিক কোটিপতির সংখ্যা বের করতে পারলেও করদাতার সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। যে কর দেয় তার গর্ববোধের অধিকার আছে। টিআইএন নেওয়ার মধ্যেও একটি গর্বের বিষয় আছে। সে গর্ববোধই তাকে কর দিতে উৎসাহিত করতে পারে। কর দেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬/আপডেট ১৩৪৬
আরইউ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।