ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজারীবাগের শ্রমিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজারীবাগের শ্রমিকরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সারা বছর যে পরিমাণ কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়, তার অর্ধেকই সংগ্রহ করা হয় কোরবানির ঈদে। এখন কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিপাড়ার শ্রমিকরা।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) জিগাতলা মনেশ্বর রোড হয়ে হাজারীবাগের ট্যানারি পল্লীতে গেলে ট্যানারি মালিক ও শ্রমিকদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সব ট্যানারি কারখানায় লবণ স্তুপ করে রাখা হয়েছে। কোথাও কাঁচা চামড়ায় লবণ মাখিয়ে রাখা হয়েছে, কোথাও ড্রাম ভর্তি রাসায়নিক দ্রব্য। ট্রাক ও ঠেলাগাড়ি থেকে কাঁচা চামড়া নামাচ্ছেন শ্রমিকরা।

ইব্রাহিম লেদার লিমিটেডের মালিক ইব্রাহিম বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদেই বছরের সবচেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হয়। এ কারণে সময়টা ব্যস্ত কাটে। অল্প সময়ের মধ্যে কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। তা না হলে চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তিনি বলেন, ‘এবারে আমি ৫০ হাজার কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেছি। এগুলো প্রক্রিয়াজাত করার কাজ চলছে। সরকারের কাছ থেকে ট্যানারি সরিয়ে নিতে তিন মাস সময় নিয়েছি। আশা করি, এর মধ্যে নতুন চামড়ার কাজ শেষ করতে পারবো’।

এবারের ঈদে ট্যানারি সরানোর দোটানায় চামড়ার ব্যবসা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী।

২০ বছর ধরে ট্যানারিতে ঠেলাগাড়ি দিয়ে চামড়া আনা-নেওয়া করেন মল্লিক হোসেন।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঈদ-উল আযহা এলে খাটুনি বাইরা যায়। এমনি সময়ে ৭/৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এখন দিন- রাত পোস্তা থেকে কাঁচা চামড়া আনার কাজ করছি। কোরবানির সময়ে তো চামড়ার মৌসুম’।
 
ট্যানারি শ্রমিক আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা এখন চামড়ায় লবণ দিয়ে রাখছি। ভালো করে লবণ দিয়ে রাখলে এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত চামড়া এ অবস্থায় রাখা যায়। এরপর ধোলাই, সোডিয়াম, বেড সালফার লাগানো হবে। অন্য সব প্রক্রিয়া বাকি’।

এছাড়া লবণে একটু হেরফের হলে চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন বৃষ্টির সময়, তাই লবণ দিয়ে চামড়া ঢেকে রাখতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
 
ট্যানারি মালিক আমিনুর হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘কাঁচা চামড়ায় ৭/৮ ঘণ্টা লবণ না দিলে নষ্ট হয়ে যায়।   এবার লবণের অনেক বেশি দাম। আমাদের মতো ছোট কারখানার মালিকরা লবণ কিনতে গিয়ে বিপদে পড়েছি। ৬০ কেজির বস্তা ১ হাজার ৫শ’ টাকা করে কিনতে হচ্ছে’।

**পোস্তার চামড়া ঢুক‌ছে হাজারীবা‌গে

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
এমসি/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।