ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কর্মপরিবেশের উন্নয়ন হলেও পোশাক মূল্য বাড়েনি: ডাচ মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
কর্মপরিবেশের উন্নয়ন হলেও পোশাক মূল্য বাড়েনি: ডাচ মন্ত্রী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও মূল্য বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সফররত নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লিলিয়ান প্লুমেন।

পোশাক উৎপাদন থেকে রফতানি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা বিদ্যমান থাকায় শ্রমিকরা নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।


 
রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু’তে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।  বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পোশাক খাতে টেকসই সোর্সিং বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধন শেষে উভয় মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে উভয় মন্ত্রীই পোশাক খাতের মূল্য না বাড়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপে নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে এ সেক্টরের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন ডাচ মন্ত্রী প্লুমেন।
 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের জন্যই ওয়েক আপ কল ছিল। কারণ এ ঘটনার পরে অনেক ভোক্তা এবং ব্রান্ড এ দুর্ঘটনার পরে তাদের করণীয় নিয়ে সতর্ক হয়। তবে বাংলাদেশের পোশাক খাতের কর্মপরিবেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশকে এখনো দু’টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এর একটি হলো কীভাবে গ্রিন টেকনোলজিতে বিনিয়োগ এবং কীভাবে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও ন্যূনতম বেতন বাড়ানো যায়। এর জন্য টেকসই সোর্সিং প্রয়োজন।
 
সম্প্রতি গুলশান হামলায় সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। একটি দেশের পক্ষে এককভাবে এর মোকাবেলা করা সম্ভব নয়, এজন্য সব দেশকে সমন্বিতভাবে সন্ত্রসবাদ মোকাবেলায় কাজ করতে হবে।
 
তিনি বলেন, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ অনেকগুলো বিষয়ে উপর নির্ভর করে। আইনের শাসন, শ্রমিকদের অধিকার। বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তা ইস্যুতেও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তবে শুধু বিনিয়োগকারীদের জন্য নয়, নিরাপত্তা সবার জন্যই প্রয়োজন।
 
তিনি বলেন, পোশাক উৎপাদন থেকে বিক্রি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা রয়েছে গেছে। এটি দূর করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়মিত সংলাপে বসতে হবে।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজার কারখানা পরিদর্শন হয়েছে। যেখানে মাত্র ৩৯টি কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া গেছে। আগের মতো একটি বিল্ডিংয়ে একাধিক কারখানা অনুমতি দেওয়া হয় না। এসব কারণে খরচ বাড়লেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের পোশাকের মূল্য বাড়েনি।
 
গুলশান হামলার কারণে পোশাক রফতানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গেত আগস্ট মাসে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি রফতানি হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
জেপি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।