ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের অবনতিতে ক্ষুব্ধ গভর্নর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬
রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের অবনতিতে ক্ষুব্ধ গভর্নর

ঢাকা: অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি অব্যহত থাকায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক অনুসারে চলতি বছরের জুন ভিত্তিক আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত সভায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন গর্ভনর।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ও লোকসানি শাখা বেড়ে যাওয়া, প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি এবং শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী  ঋণ আদায় করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গভর্নর।

খেলাপি ঋণ আদায়, ঋণ প্রবৃদ্ধি যথাযথ রাখা, লোকসানি শাখা ও পরিচালন ব্যয় কমানো, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও সুপারভিশনের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে ২০০৭ সালে এ সমঝোতা চুক্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চুক্তি অনুসারে তিন মাস পর পর ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নিয়মিত সভায় এসব লক্ষ্য অর্জনের মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু তারপরও কোনো উন্নতি হচ্ছে না।

সার্বিক অবস্থার চরম অবনতির কারণে গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে ব্যাংক চারটিতে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ রয়েছে। মূলধন ঘাটতি রয়েছে তিনটি ব্যাংকের। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে লোকসানি শাখা। শীর্ষ খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ আদায় পরিস্থিতিও সন্তোষজনক নয়। আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে মূলধন ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি খেলাপি ঋণ ও লোকসানি শাখা কমিয়ে আনার ওপর জোর দেওয়া হয়।

সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজি হাসান, নির্বাহী পরিচালক নির্মল চন্দ্র ভক্ত, মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬
এসই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।