ঢাকা: ব্যবস্থাপনার নামে ১৫৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
কোম্পানিটির এ অবৈধ ব্যবস্থাপনা ব্যয়, অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (অডিট ফার্ম) নিয়োগ দিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
সূত্র জানায়, আইডিআরএ নির্ধারিত হোদা বাসি চৌধুরী চৌধুরী অ্যান্ড অডিট ফার্ম কোম্পানি সন্ধানী লাইফের ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের ব্যবসায়িক চিত্র নিরীক্ষা করবে। এতে কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, বিনিয়োগ, প্রিমিয়াম আয়, তামাদি পলিসি, লাইফ ফান্ড ও সম্পদের প্রকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
এদিকে আইডিআরএ’র পাশাপাশি কোম্পানির ১৫৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)। দুদক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কমিটি গঠন করেছে, যারা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
আইডিআরএ’র কাছে অভিয়োগ রয়েছে, ২০০৯-১৫ সাল পর্যন্ত মোট ০৭ বছরে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের তুলনায় ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারিত টাকার চেয়ে ১৫৫ কোটি ৫৯ লাখ বেশি দেখিয়েছে কোম্পানিটি। বিমা বিধিমালা-১৯৫৮ এর ৩৯ বিধি মতে, প্রথম বর্ষ ব্যবসার জন্য ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
কিন্তু কোম্পানিটি নির্ধারিত সীমার চেয়ে ২০১১ সালে ৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ২০১২ সালে ৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ২০১৩ সালে ২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ২২ কোটি ০৭ লাখ টাকা এবং ২০১৫ সালে ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বেশি খরচ দেখিয়েছে। যা বিমা বিধিমালা-১৯৫৮ এর বিধি ৩৯ এর লঙ্ঘন।
একই অনিয়মের কারণে এর আগে পদ্মা ইসলামী, প্রগতি, মেঘনা, সানফ্লাওয়ার ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সসহ মোট ৬টি বিমা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান (অডিট ফার্ম) নিয়োগ করে আইডিআরএ। অডিট রিপোর্টে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা লোপাটের চিত্র উঠে আসে।
আইডিআরএ’র সদস্য ও মুখপাত্র জুবের আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিয়ম বহির্ভূত খরচ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রোববার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
এমএফআই/এএসআর
