ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেট কর অঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ কোটি টাকা

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
সিলেট কর অঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ কোটি টাকা  ছবি: আবু বক্কর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: সিলেট কর অঞ্চলে করদাতার সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭৯ জনের বিপরীতে ২০১৬-১৭ অর্থবছের ৫০০ কোটি টাকা কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ।

বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও ৩৩২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩৫৯ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা আদায় সম্ভব হয়েছে। সিলেট কর অঞ্চলে ক্রমাগত করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, ঠিকাদারি ও গাড়ির মালিক হতে গেলে সবক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (ইটিআইএন) থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। ফলে ইটিআইএনধারীর সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি বলেন, ২০১০-১১ সালে করদাতার সংখ্যা ছিলো  ১ লাখ ৫ হাজার ২১০ জন। বর্তমানে ইটিআইএনধারী ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭৯ জন। গত ৫ বছরে করদাতা বেড়েছে ৪৮ হজার ১৬৯ জন। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৮ হাজার করদাতা বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তিন মাসেই বেড়েছে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১০ হাজার করদাতা।

সিলেটে কর প্রদান ও করদাতার পরিমাণ বাড়ার পেছনে মানুষের সচেতনতাকে বড় করে দেখছেন তিনি। তার মতে, সিলেট কর অঞ্চলে করবান্ধব পরিবেশ থাকায় করদাতারা স্বেচ্ছায় অফিসে এসে ইটিআইএন খুলছেন, কর দিচ্ছেন।

‘সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত আয়কর মেলায় সিলেট থেকেই ২০ কোটি টাকা কর আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দিনেই ২ কোটি টাকার ওপরে কর আদায় হয়েছে। সেই সঙ্গে মেলায় ইটিআইএনধারীর সংখ্যাও বাড়বে’- যোগ করেন তিনি।

করদাতাদের হয়রানি বন্ধে ভূমিকা প্রসঙ্গে এই কর কমিশনার বলেন, এখন থেকে অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে ইটিআইএন করার পাশাপাশি ই-পেমেন্টের ব্যবস্থাও চালু হয়েছে।   এতে হয়রানি কমে আসবে। কর দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি নিজে নিজেই ইটিআইএন খুলতে পারবেন।

তিনি বলেন, সিলেট কর অঞ্চলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৩২ কোটি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কর আদায় হয় ৩৫৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৩-১৪ সালে ৪৫০ কোটি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কর আদায় হয় ৩৯২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩৫৫ কোটি ৩৫৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কর আদায় হয়েছিলো ৩৭১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৮১ কোটি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৮৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং ২০১০-১১ সালে ১৮৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আদায় হয়।

আবু দাউদ বলেন, সিলেট কর অঞ্চলে জনবল সংখ্যাও কম। ২৬৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থলে ১৪৯টি পদে জনবল রয়েছে। শূন্যপদের সংখ্যা ১১৪টি। শূন্যপদ পূরণ হলে সিলেট কর অঞ্চলের কার্যক্রমের গতি আরও বাড়তো।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা শুরু হয়েছে। যা চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
এনইউ/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।