ঢাকা, রবিবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ মে ২০২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নকশীকাঁথার ভাঁজে বোনা মুক্তার স্বপ্ন

রীনা আকতার তুলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৭, নভেম্বর ২, ২০১৬
নকশীকাঁথার ভাঁজে বোনা মুক্তার স্বপ্ন ছবি: কাশেম হারুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যুব পণ্য বাজার থেকে (ঢাকা): মায়ের নকশীকাঁথা সেলাই করার খুব নেশা ছিল, খুব মনোযোগ নিয়ে দেখতাম কিভাবে সেলাই করে, কাঁথার সেলাইয়ে ফুটে উঠতো নৌকা, শাপলা, কূলা, ইলিশ মাছসহ আরো কতোকী।  

ছোট থেকে ভাবতাম এই কাঁথা সেলাই করে আয় করা সম্ভব।

আমার চাকরি করার তেমন ইচ্ছা ছিল না, মাস্টার্স পাস করে তাই নিজেই উদ্যোগ নিয়ে অল্পপুঁজি দিয়ে এ ব্যবসা শুরু করলাম। এই নকশীকাঁথার মধ্যে স্বপ্ন বুনে ছিলাম।

জাতীয় যুব দিবস-২০১৬ উপলক্ষে মতিঝিল যুবভবনে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত যুবপণ্য বাজারের নিজ স্টলে এভাবে নকশীকাঁথার ভাঁজে নিজের স্বপ্ন বোনার কথা বাংলানিজকে বলছিলেন কুমিল্লার সফল নারী উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তা।

মুক্তা বাংলানিউজকে বলেন, সব সময় মনে হতো নিজে কিছু করি এবং অন্যকে সহযোগিতা করি। এ চিন্তা থেকে নতুনত্ব বুটিকস ও শিল্প নামে এ প্রতিষ্ঠান চালু করলাম।

এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমার একটি কারখানা রয়েছে। যেখানে ২০০ নারী কাজ করে। এছাড়া রাজধানীর নর্থ গোলাপবাগ কারখানায় ৪০ জন নারী কাজ করে। আমরা নকশীকাঁথা তৈরি করি এবং পাইকারি বিক্রি করি।

তিনি বলেন, ২০০১ সাল স্বামী রাশেদের সারোয়ারের অনুপ্রেরণায় আমি এ ব্যবসা শুরু করি। রাশেদ আমাকে এ কাজে সহযোগিতার জন্য প্রথমে তিনটি সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছিল। বর্তমানে আমার মাসিক আয় ৭০ হাজার টাকা।

২০০৯ সালে স্বামী রাশেদ সারোয়ারের মৃত্যুর পর দুই মেয়ে সুমাইয়া তাসলিম ও সাহারা তাসলিমকে নিয়ে একই সংসার চালিয়ে আসছেন তিনি। সুমাইয়া ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সাহারা ৩য় শ্রেণীতে পড়ে। তিনি তার সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি ২০১৪ সালে সফল আত্মকর্মী হিসেবে জাতীয় যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ থেকে পুরস্কার লাভ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
আরএটি/এসএইচ

**
‘স্বামীর অনুপ্রেরণায় কাকলীর নীলমাধব’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।