ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বাংলানিউজ২৪.কমে প্রকাশিত ‘অগ্রণীর এমডি শামস্-উল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের অডিট বিভাগের এসপিও মো. শাহজাহান আকন্দ।

ঢাকা: বাংলানিউজ২৪.কমে প্রকাশিত ‘অগ্রণীর এমডি শামস্-উল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের অডিট বিভাগের এসপিও মো. শাহজাহান আকন্দ। সংবাদটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন তিনি।

 

লিখিত প্রতিবাদপত্রে মো. শাহজাহান আকন্দ বলেন, ‘গত কিছুদিন আগে আমার নাম ব্যবহার করে আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহম্মদ শামস্-উল ইসলামের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও অকল্পনীয় অভিযোগ দিয়ে উড়ো চিঠি দেওয়া হয়’।

‘এ চিঠির ভিত্তিতে বাংলানিউজ২৪.কমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়’।

তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম একজন সৎ, দক্ষ, নির্ভীক, কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান লোক। তিনি আমাদের ব্যাংকে আসার আগে এ ব্যাংকটিকে অনেকে চিনতেন না। ব্যাংকটি আর্থিক সংকটে ভুগছিল এবং প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তিনি এসে তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এ ব্যাংকটিকে একটি মজবুত অবস্থানে নিয়ে যান’।

‘বর্তমানে ব্যাংকটি সরকারি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করেছে। ব্যাংকটিকে বর্তমানে সবাই একনামে চেনেন। মোহম্মদ শামস্-উল ইসলাম আসার আগে অনেক ধরনের অনিয়ম যেমন ঘুষের বিনিময় চাকরি দেওয়া, পদোন্নতি বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম হতো, যা তিনি শক্ত হাতে প্রতিহত করেন।

‘এতে করে যারা এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার কাজে ব্যাঘাত ঘটার ফলশ্রুতিতে এ চক্রটি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন উড়ো চিঠিটি পাঠান’ বলেও দাবি করেন মো. শাহজাহান আকন্দ।

‘ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাবেক এমডি ক্রয়ে অনিয়ম করেছেন, যা সঠিক নয়’।

শাহজাহান তার প্রতিবাদপত্রে বলেন, ‘শামস্-উল ইসলাম কোনো কিছু ক্রয় করার আগে বাজার দর যাচাই কমিটির মাধ্যমে পণ্যের দাম যাচাই-বাছাই করাতেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি নিজে বাজার দর যাচাই করে অনেক কমে পণ্য ক্রয় করতেন। যে প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হতো, তাদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করতেন। এবং প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান, যারা বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে মালামাল সরবরাহের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন’।

‘ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কে কে ইন্টারন্যাশনালের মালিক এমডির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। কিন্তু বাস্তবে কে কে ইন্টারন্যাশনালের মালিকের নাম কে কে মুখার্জী। তিনি একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। একজন হিন্দু একজন মুসলমানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হতে পারেন না। এতে প্রমাণিত হয় যে, ওই চিঠিতে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত’।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।