ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাপা ফুডপ্রো

মসলাতে নজর দর্শনার্থীদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
মসলাতে নজর দর্শনার্থীদের ছবি- কাশেম হারুণ- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

তিন দিনব্যাপী চলমান ‘৪র্থ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬’- এ দেশি দর্শনার্থীদের নজর বাংলাদেশি গুঁড়া মসলায়। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

ঢাকা: তিন দিনব্যাপী চলমান ‘৪র্থ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬’- এ দেশি দর্শনার্থীদের নজর বাংলাদেশি গুঁড়া মসলায়। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

 

শুধু দেশি দর্শনার্থীই নয় বিদেশি ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের মানসম্মত মসলায় সন্তুষ্ট বলে জানান প্রাণ-এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার মারুফুর রহমান।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলার শুরু থেকে যতো দর্শনার্থী আসছেন তাদের মূল আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠেছে মসলা। বিশেষ করে গুঁড়া মসলার দিকেই নজর তাদের। কারণ বেঁটে মসলা ব্যবহার কষ্টকর কাজ। বেশিরভাগ মানুষই এখন বাইরে কাজ করেন। ফলে রান্নায় যতোটা সময় বাঁচানো যায় তাই তারা করেন। তাই গুঁড়া মসলার চাহিদা বেশি।  

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা করিমুন্নেসা মেলায় এসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মসলা একসঙ্গে দেখে বেশ উৎফুল্ল।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণত আমরা কোনো দোকানে বা সুপার শপে গেলে একসঙ্গে এতো ব্র্যান্ডের মসলা দেখি না। তাই মানটা সাধারণ চোখে যাচাই করাও বেশ কঠিন। কিন্তু মেলায় একই ছাদের নিচে এতো প্রতিষ্ঠানে মসলা একসঙ্গে দেখতে পারছি। ফলে একদিনে যেমন কোন প্রতিষ্ঠানে দাম কেমন তা জানতে পারছি, ঠিক তেমনি মানটাও বুঝতে পারছি।  

বাংলাদেশ থেকে অন্তত ২৬ রকমের গুঁড়া মসলা বিদেশে রফতানি হচ্ছে বলে জানান বিউটি মসলার কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মসলার মূল বাজার মধ্যপ্রাচ্য। কারণ সেখানে বাংলাদেশি প্রবাসী অনেক। তাই তারা চান নিজের দেশের মসলার স্বাদ নিতে। তাছাড়া মানসম্মত হওয়ায় আমাদের দেশের মসলা বিদেশে প্রচুর রফতানি হচ্ছে। শুধু মধ্যপ্রাচ্যই নয় ইউরোপে যাচ্ছে বাংলাদেশের মসলা।  

মসলার পাশাপাশি মেলায় চাটনি ও জ্যাম, জেলির চাহিদা রয়েছে বলে জানান রাজশাহী ম্যাঙ্গো প্রোডাক্টের কর্মকর্তা মাসুম হোসেন।  

তিনি বলেন, আচার ও চাটনির প্রতি আমাদের উপমহাদেশের মানুষের চাহিদা এমনিতেই বেশি। এই দু’দিনে চাটনি, জ্যাম, জেলি প্রচুর বিক্রি হয়েছে। আমাদের দেশের ফলের সুনাম রয়েছে বিশ্বজোড়া। তাই সেই ফল থেকে তৈরি জ্যাম, জেলির চাহিদাতো বেশি হবেই।  

মেলায় রয়েছে সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য। শুধু তাই নয় কোন মেশিনের মাধ্যমে খাদ্যের মোড়ক করা হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান মেলায় তাও তুলে ধরছেন দর্শনার্থীদের সামনে।

প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং এক্সট্রিম এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট সল্যুশন লিমিটেড আয়োজন করেছে ‘৪র্থ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬’।

আন্তর্জাতিকমানের এ মেলা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকছে মেলা।  

এতে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ড, স্পেন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ প্রায় ১৩টি দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য এবং সেবা প্রদর্শন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬
ইউএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।