ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিরাপদ খাদ্য আইন মামলায় প্রথম রায়ে জরিমানা দিল টাঙ্গাইল চমচম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
নিরাপদ খাদ্য আইন মামলায় প্রথম রায়ে জরিমানা দিল টাঙ্গাইল চমচম

নিরাপদ খাদ্য আইনে করা মামলার প্রথম রায় দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

ঢাকা: নিরাপদ খাদ্য আইনে করা মামলার প্রথম রায় দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
 
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) আদালতের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব সোবহানী এই রায় দেন।


 
মামলায় রাজধানীর নয়াপল্টনের অরিজিনাল টাঙ্গাইল চমচম ঘর অ্যান্ড বেকারির মালিককে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।   অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড।

আদালতসূত্র জানায়, ওই বেকারির দোকানে রসগোল্লায় চর্বি বা দুধের সর কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক (স্যানেটারি ইন্সপেক্টর) মোহা. কামরুল হাসান বাদী হয়ে চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর মালিক শ্রী আশুতোষের (জীবনবাবু) বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবনে অবস্থিত আদালতে শুনানি শেষে প্রতিষ্ঠানের মালিক দোষ স্বীকার করলে তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রায় দেন আদালত।
 
এরই মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করা হয়ে গেছে বলে জানায় আদালতসূত্র।
 
চমচম অ্যান্ড বেকারির মালিক গত সপ্তাহে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। জরিমানার অর্থ প্রদান করায় তার মুক্তিতে আর বাধা নেই।
 
মামলার তদন্তসূত্র জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ল্যাবরেটরিতে রসগোল্লার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১০ শতাংশ দুধের সর থাকার কথা থাকলেও ৭.৯৬ শতাংশ পাওয়া যায়। তারা নিজেরাই রসগোল্লা উৎপাদন করতো বলে জানা যায়।
 
নিরাপদ খাদ্য আইন গত বছর সংসদে পাসের পর চলতি বছর থেকে মামলা করার ক্ষমতা পান সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকরা। এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিরাপদ খাদ্য আইনে অভিযান পরিচালনা করে এলেও আদালত কোনো মামলায় এই প্রথম রায় দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এনটি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।