ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘আফ্রিকার দেশগুলোতে এখনই বিনিয়োগ সম্ভব নয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
‘আফ্রিকার দেশগুলোতে এখনই বিনিয়োগ সম্ভব নয়’ ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান। ছবি: সুমন শেখ

নিরাপত্তাহীনতার কারণে সম্ভাবনা থাকলেও আফ্রিকার দেশগুলোতে এখনই বিনিয়োগ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান।

ঢাকা: নিরাপত্তাহীনতার কারণে সম্ভাবনা থাকলেও আফ্রিকার দেশগুলোতে এখনই বিনিয়োগ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে বেনিন শান্তিসেনা দিবস উপলক্ষে কোয়ালিশন অব লোকাল এনজিও বাংলাদেশের (সিএলএনবি) উদ্যোগে ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ফারুক খান বলেন, ‘আফ্রিকার দেশগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা এখনও স্পষ্ট নয়। এ কারণে সেখানে বিনিয়োগ সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি আগের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে এবং শান্তি রক্ষায় আমাদের অনেক মূল্যও দিতে হচ্ছে’।
 
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত কর্তব্যরত অবস্থায় অথবা নিরীহ মানুষকে রক্ষায় বাংলাদেশের ১৩১ জন শান্তিরক্ষী আত্মোৎসর্গ করেছেন। সর্বোচ্চ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন তারা।

ফারুক খান আরও বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য দক্ষ সুশৃঙ্খল এবং বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম জনবল তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশনস ট্রেনিংয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রয়োজনীয় লোকবল ও কারিগরি সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করা হয়েছে।

সিএলএনবি'র চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ শান্তিসেনা প্রেরণকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃত। বিশ্বের ৪০টি দেশে ৫৪টি মিশন সম্পন্ন করেছেন এ দেশের সেনারা।

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন জাতিসংঘের মিশনে যাওয়া বাংলাদেশের শান্তিসেনারা। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ওই সব দেশগুলোর হৃদ্যতা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে আফ্রিকায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভবনা রয়েছে – বিভিন্ন পক্ষের এমন দাবি আছে।

তারা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিসেনাদের আত্মত্যাগ, বিশ্বস্ততা, ন্যায়পরায়ণতা ও নিরপেক্ষতা মিশন এলাকার স্থানীয় উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখছে। এ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়ার কারণে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর নেতা হিসেবে স্বীকৃত বলেও মন্তব্য করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬
জেপি/আরআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।