মাদারীপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী এবং কিশোরগঞ্জে এসব বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বোর্ডের ৫ম সভায় এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বেজা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার উন্নয়নের জন্য প্রাইভেট সেক্টরকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে বিনিয়োগ করুন।
যত্রতত্র কলকারখানা নির্মাণ করা যাবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন থেকে আমাদের কৃষি জমি, পরিবেশ, প্রতিবেশ রক্ষা করতে হবে। কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। অপরিকল্পিত শিল্পায়ন পরিবেশের জন্য হুমকি।
বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট স্থানে শিল্পায়ন করতে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই শিল্পায়নের জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় কলকারখানা স্থাপন করতে হবে।
সভায় স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সেবা দিতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন বিধান করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চল বিষয়ক নীতিমালার খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুর রহমান চন্নু, বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বেজার বর্তমান কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ