কেজি প্রতি খাসি, গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে স্বাভাবিক দামের তুলনায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি। মাংসের দামে এই ঊর্ধ্বগতি কারণে ক্রেতারা রয়েছেন অস্বস্তিতে।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বিয়ে, পিকনিক, পার্টি ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সরবরাহের কারণে মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওরানবাজার, পশ্চিম রাজাবাজারের কাঁচাবাজার ও হাজারী কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজারে সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ টাকা। বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, ফুলকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা, দেশি টমেটো ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি ২৫ টাকা ও বেগুন প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের দামও স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ৭৫০-৮০০ টাকায়, দেশি রুই ৫০০-৬০০ টাকা, কৌরাল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা ও প্রতি কেজি চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের দাম গত সপ্তাহের মতই স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া চাল,ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন ও আধার দাম রয়েছে স্থিতিশীল।
শাক-সবজি ও মাছের দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতাদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে মাংসের দামের কারণে। যেখানে গত এক মাস আগেও প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হত ৫৫০-৬৫০ টাকায় আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছিল ৪১০ টাকায় কিন্তু আজ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। বয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৭০ টাকায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে।
মাংসের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতারা বলছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বৃদ্ধি পেতে থাকে মাংসের দাম যা এখনো পর্যন্ত কমেনি। বিক্রেতারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মাংসের দাম বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতাদের।
কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় মূল্য বৃদ্ধি।
এ সম্পর্কে কারওরানবাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. শামীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বিভিন্ন পিকনিক, বিয়ে, অফিসের অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়া সরবরাহ বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করি জানুয়ারির শেষের দিকে দাম স্থিতিশীল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমে/বিএস