রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। আর এমন সুযোগটি করে দিয়েছে সমবায় অধিদফতর।
সরকারের এ দফতরটি সমবায় সমিতির সদস্য উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলোই বাণিজ্য মেলায় এনেছে। অধিদফতরের প্যাভিলিয়নটি যেমন দৃষ্টিনন্দন, পণ্যগুলোও তেমন খাঁটি।
সাধারণত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদনের সার্বিক সহায়তা করে সমবায় অধিদফতর। একইসঙ্গে তারা সেসব পণ্য বিক্রির ব্যবস্থাও করে দেয়।
ঢাকা বিভাগীয় সমবায় অফিসের ইন্সপেক্টর মো. তাজ উদ্দীন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, মোট আটটি সদস্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে তারা স্টল সাজিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাদের মূল লক্ষ্যই হলো সমবায় সমিতির সদস্যদের উৎপাদিত পণ্যের প্রসারে কাজ করা।
তারা থ্রি-টেক, এক্সিস, সুপার ফিট, ডিউস লেদার এর বিভিন্ন ধরনের চামড়াজাত পণ্য এনেছেন। এগুলোর মধ্যে বেল্ট, ব্যাগ, মানিব্যাগ, জেকেট, জুতো, সেন্ডেল, হিল, হাইহিল।
পণ্যগুলো যেমন দৃষ্টিনন্দন, ব্যবহারবান্ধব, তেমনি দামও তুলনামূলক কম। বেল্ট পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকায়। মানিব্যাগ সাড়ে ৩শ’ থেকে ১ হাজার টাকায়। জুতো, হিল, স্যান্ডেল দিচ্ছে ৫শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা।
এছাড়া মাটির বাসন, বেতের শো-পিস, শতরঞ্জির মতোও পণ্যগুলো এনেছে সমবায়। এক্ষেত্রে পণ্যগুলো নেওয়া হয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, শতরঞ্জি ও কল্যাণপুর মৃৎ শিল্প থেকে।
তাজ উদ্দীন মোল্লা বলেন, সারা বছর ধরেই সমিতির সদস্যরা পণ্য প্রস্তুত করে। এরপর তারা সমবায় বাজার কনসোর্টিয়ামে সেগুলো দেয়। সেখান থেকে ভালো পণ্যগুলো আবার বেশি পরিমাণে অর্ডার দিয়ে তৈরি করে নেয় অনেকে। এতে কোনো মধ্যসত্ত্বভোগী ছাড়াই ভালো প্লাটফর্ম পান উদ্যোক্তারা।
সমবায়ের স্টলে আসা ক্রেতা সায়মা রহমান বলেন, লেদারের হাইহিলগুলো খুব ভালো। তাই কিনে নিলাম। এছাড়া দু’টো শো-পিসও কেনা হয়েছে।
গ্রাহকের এই তুষ্টি দেখে সন্তুষ্ট সমবায়ও। তাজ উদ্দীন মোল্লা বলেন, তুলনামূলক কম দামে ভালো পণ্য তুলে দিলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়ে। এটা সমবায়েরও সাফল্য। আর ভালো পণ্যগুলো নিয়েই বাণিজ্য মেলায় প্রমোশন করা হয়।
**সেলফি তুলে সেরা হলেই পুরস্কার ৩২ ইঞ্চি এইচডি টিভি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস