বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অষ্টম আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং এক্সপোজিশনের-২০১৭ (গ্যাপেক্সপো) দ্বিতীয় দিন চলছে।
চীন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফোসান সিগুল পার্সন টেক্সটাইল লি. এর প্রধান কার্যনির্বাহী টম লি বাংলানিউজকে জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশই এখন গার্মেন্টস শিল্পকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে।
১৮ জানুয়ারি শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী এ মেলায় ৬০০টি স্টল এবং ৮০০টি বুথ রয়েছে। ২৪টি দেশ থেকে ৯৪টি কোম্পানি মেলায় অংশ নিয়েছে।
মেলার স্টলগুলোতে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং পণ্যের মেশিনারিজ, কাঁচামাল এবং গার্মেন্টসের এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উত্পাদিত পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। সরাসরি চীন থেকে আসা এ আধুনিক মেশিনগুলো বিদ্যুৎ সায়শ্রী দামে কম এবং উন্নত মানের পণ্য তৈরিতে সাহায্যকারী। যার ফলে আমাদের এ গার্মেন্টস শিল্প ও উদ্যোক্তা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
টেকনোপ্যাক শিল্পজাত মেশিনারি কোম্পানি লি. এর প্রধান নির্বাহী শিশির গ্রাইন জানান, আমরা মোটামুটি গার্মেন্টসের ১০ সেক্টরের যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করছি, তবে সক্রিয় কাটিং মেশিনই আমাদের প্রধান আকর্ষণ। উন্নত দেশের তুলানায় এখানে বাংলাদেশে এ মেশিনটি চাদিহা বেশি দেখছি। ইতিমধ্যে আমরা কয়েকটির অর্ডারও পেয়েছি। এটা খুব পরিষ্কার যে, এ সেক্টর নিয়ে বাংলাদেশ ইতিবাচক চিন্তা করছে।
এদিকে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং মেলায় নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রদর্শনীকে ইতিবাচক ভাবে দেখছেন।
আতিকুর রহমান (৩৫) নামে এক উদ্যোক্তা বাংলানিউজকে জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতি বছরে একাধিকবার এ ধরনের আয়োজন করা উচিত। পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের সরাসরি পরিচয়ের এমন ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে পারলে তৈরি পোশাকখাতকে আরও এগিয়ে নেয়া সহজ হবে বলেও মনে করছেন এই উদ্যোক্তা।
অন্যদিকে গত অর্থবছরে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য রফতানি থেকে আয় হয় ৬১২ কোটি ডলার। যা এর আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি । এবার সবকিছু ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি আব্দুল কাদের খান।
তিনি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণের রোডম্যাপ ঘোষণা করছে। এরই আলোকে বিজিএমইএ ২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং। তাহলে সবাই তো আইকন দেশ বলবেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এসটি/এসএইচ