ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অচিরেই সরাসরি কার্গো যাবে অস্ট্রেলিয়ায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
অচিরেই সরাসরি কার্গো যাবে অস্ট্রেলিয়ায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কার্যালয়ে

ঢাকা: অচিরেই বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সরাসরি কার্গো বিমান ফ্লাইট যাবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত সে দেশের রাষ্ট্রদূত মিজ জুলিয়া নিব্রেট।

সোমবার (জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে দেখা করে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বই এভিয়েশন সিকিউরিটির বিষয়ে খুব সতর্ক।

অস্ট্রেলিয়াও এই ঝুঁকির বাইরে নেই। বাংলাদেশের বিমান বন্দরের নিরাপত্তা দুর্বলতার কথাও সবার জানা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও এরই মধ্যে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
 
জুলিয়া নিব্রেট বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটির বিষয় দেখভাল করছে বৃটিশ কোম্পানি রেড লাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি লিমিটেড। তাদের কাজ প্রায় শেষ। এরপরই অষ্ট্রেলিয়া শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। তবে এখনই এর কোনো টাইম ফ্রেম ঘোষণা করতে পারছিনা।
 
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন,  অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি সাড়ে ১৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট ও বন্ধু রাষ্ট্র। সেখানে আমরা সকল পণ্যের উপর ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পেয়ে থাকি। গত অর্থবছর বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারে পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।
 
তিনি বলেন, অষ্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে। আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ সে দেশে ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানির মাইলফলক স্পর্শ করবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সিরামিক টেবিল ওয়্যার, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, পিভিসি ব্যাগ, চিংড়ি, ক্যাপসহ বেশকিছু পণ্য অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি হয়।
 
তোফায়েল বলেন, উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি ও পরিবেশে অস্ট্রেলিয়া সন্তুষ্ট। অষ্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকে এদেশে সব সময়ই স্বাগতম জানানো হবে এবং চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
 
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে। আমাদের শিল্পনীতি ও বিনিয়োগ নীতি অনুযায়ী প্রয়োজনে বিনিয়োগকারীরা শতভাগ অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবে। বাংলাদেশ আইন প্রনয়ণ করে বিনিয়োগকারীদের এ অধিকার নিশ্চিত করেছে।
 
তিনি আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বাজারে পণ্য পাঠাতে সরাসরি কার্গো বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যয় বেশি হচ্ছে, জটিলতা না থাকলে রপ্তানি আরো বেশি হতো। উভয় দেশ এ প্রতিবন্ধকতা দুর করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতে এ সমস্যা থাকবে না।
 
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক চমৎকার। বাংলাদেশের তৈরি পণ্য অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বেশি রপ্তানি হচ্ছে। আমরা দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। কার্গো জাহাজ সরাসরি চলাচল করলে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পণের রপ্তানি আরো বাড়বে। বাংলাদেশের ৩০ হাজার মানুষ সুনামের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছে। অনেকেই নাগরিকত্ব পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক ও অতিথি পরায়ন।
 
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) জহির উদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসচিব (এফটিএ) মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
আরএম/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।