বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে জেলার বসুন্ধরা এলপি গ্যাস পরিবেশকদের পক্ষ থেকে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সভায় হেড অব মার্কেটিং এমএম জসীম উদ্দীন বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বেশ কিছু কোম্পানি নিম্নমানের ঝুঁকিপূর্ণ এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিদেশ থেকে আমদানি করছে। তাতে গ্যাস ভরছে। সেই সিলিন্ডারগুলোর মেইনটেন্যান্স নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসুন্ধরার সিলিন্ডার নিয়মিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর বাজারজাত করা হয়। এতে দুর্ঘটনার কোনো আশঙ্কা থাকেনা। বাজারে সুস্থ বিপণন ব্যবস্থার উপরেও জোর দেন তিনি।
হেড অব অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স মাহাবুব আলম বলেন, রাজশাহী বিভাগে এলপি গ্যাসের সহজপ্রাপ্যতা খুব শীঘ্রই নিশ্চিত করা হবে। ঢাকায় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এতে করে বাজারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিফিল ও সিলিন্ডারের সংকট থাকবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ডিজিএম অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং জাকারিয়া জালাল বলেন, বগুড়া প্লান্টের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটা হলে এ অঞ্চলে পণ্যের সহজলভ্যতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
সেক্রেটারি টু অনারেবল ভাইস চেয়ারম্যান মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বসুন্ধরা আজ বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান এলপি গ্যাস ব্র্যান্ড। আগামীদিনেও বসুন্ধরা এলপি গ্যাস নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড হিসেবেই ব্যবসা পরিচালনা করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
এছাড়া সভায় এলপি গ্যাসের পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার সেলস (বগুড়া ডিভিশন) মো. শরিফুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ব্র্যান্ড মো. আরিফ সিদ্দিক, বগুড়ার এরিয়া সেলস ম্যানেজার মোরশেদ মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পরিবেশকরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআই