এদিকে এবারের বাণিজ্য মেলায় ২৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। গত বছর রপ্তানি আদেশ ছিলো ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার।
এবারের মেলায় পণ্য সামগ্রী বিক্রি হয়েছে ১১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। ২০১৬ সালে পণ্য বিক্রি হয়েছিলো ১২১ কোটি টাকার। সে মোতাবেক এবার ৮ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি কমেছে।
মেলায় এবার সেরা প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে আখতার ফার্নিচার, হাতিল ফার্নিচার ও আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ। একই ক্যাটাগরিতে নাদিয়া ফার্নিচার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস পেয়েছে তৃতীয় পুরস্কার।
উল্লেখ্য, গত বছরেও ওয়ালটন শ্রেষ্ঠ প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ও সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিল।
এবারের মেলায় ওয়ালটন ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকার ভ্যাট দিয়েছে, ২৮ লাখ টাকার বেশি ভ্যাট দিয়েছে ৠাংগস ও ২২ লাখ টাকার ভ্যাট দিয়েছে হাতিল।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, এবারের মেলায় ২১টি দেশের ৪৮টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বাংলাদেশ ছাড়া অংশ নেয়া দেশসমূহ হচ্ছে, ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক,সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া,যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, মরিশাস, নেপাল, হংকং, জাপান, ভূটান, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
মেলায় সর্বমোট ৫৮০টি বিভিন্ন ধরনের প্যাভিলিয়ন,মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল ছিলো। যার মধ্যে বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৮টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ০৮টি এবং বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল ১৪টি। গতবার বরাদ্দ ছিল ৫৫৩টি স্টল।
মেলায় আগত শিশুদের জন্য দুটি শিশু পার্ক ছিলো। এছাড়া মেলাকে দৃষ্টি নন্দন করতে বাগান ও ফোয়ারার ব্যবস্থা ছিলো। মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন ছিলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আনসার সদস্যের পাশাপাশি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান। এবার নিরাপত্তার জন্য মেলায় ১৪০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনা করা হয়। পাশাপাশি এবারই প্রথম পুরো মেলাকে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে আনা হয়। যারা মেলায় আসেনি তারাও ঘরে বসে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে পুরো মেলা দেখতে পেরেছেন।
তবে এবারের মেলা ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে সময় ৪ দিন বাড়ায় মেলা কমিটি। প্রতিবছর বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী থাকলেও এবার সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাহরূহা সুলতানার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনসহ প্রমুখ।
এদিকে ২০১৮ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) আর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হবে না। ওই বছর থেকে মাসব্যাপী এই মেলা হবে রাজধানীর পূর্বাচলে। এ জন্য সরকার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫,২০১৭
এসজে/আরআই