রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপরে বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার ইয়াসোজা গুনাসেকারার বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে তাদের কলম্বো এবং হামবানটোটা বন্দর ব্যবহার করলে দুই দেশের বাণিজ্য অনেকাংশ বাড়বে।
বৈঠকের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘শ্রীলংকার সঙ্গে আমরা এফটিএ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট-মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) করতে চলেছি। ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা এক দেশ অন্য দেশকে সুবিধা দিতে ইতোমধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছি। ’
মন্ত্রী বলেন ‘আমরা শ্রীলংকায় ওষুধ, কাগজ, সিমেন্টসহ অনেক কিছু রফতানি করতে পারি কিন্তু ডিউটির উচ্চতার কারণে সেটা আমাদের সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ ব্যাপারে আরও নমনীয় হতে আমরা একমত হয়েছি’।
কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সচিব পর্যায়ে আলোচনা চলছে, এছাড়া টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এটা করতে সক্ষম হব। ’
এ সময় শ্রীলংকার হাইকমিশনার বলেন, আমরা আমাদের কলম্বো এবং হামবানটোটা বন্দর বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করেছি। এই বন্দর দুটো ব্যবহার করলে পূর্ব এশিয়ার যেকোনো বন্দর ব্যবহারের চেয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের খরচ ও সময় বাঁচবে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে।
তিনি বলেন, শ্রীলংকান ব্যবসায়ীরা এদেশে এরইমধ্যে ব্যাংকসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করেছে। অনেক ব্যবসায়ী বাংলাদেশে ফার্মাসিটিক্যাল, জাহাজ নির্মাণ, তৈরি পোশাক ও আইটি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
বাংলাদেশি পণ্যের শ্রীলংকায় রফতানি বাড়ানোর সুযোগ সম্পর্কে হাইকমিশনার বলেন, এমনিতেই বাংলাদেশি পণ্য মানের দিক থেকে অনেক উন্নত। দুই দেশের মধ্যে এফটিএ সই হলে দুই দেশের রফতানি কয়েকগুণ বাড়বে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, শ্রীলংকান ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সরকার ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেও তারা বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ২০১২-১৩ অর্থ বছর থেকে দুই দেশের বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি ঘাটতির মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
আরএম/বিএস