বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ৩ নম্বর হলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী নবম 'এশিয়া ফার্মা এক্সপো' ২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঠিক পরে আমরা ৭০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতাম।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ওষধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর জন্য আমরা কাজ করবো, যাতে উদ্যোক্তারা ভালো মানের ওষুধ তৈরি করে আরও দেশে রপ্তানি করতে পারেন।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের ওষুধ শিল্প এখন একটি মানসম্মত পর্যায়ে চলে এসেছে। আমাদের দেশে তৈরি ওষুধের মানও আগের থেকে অনেক বেড়েছে। এখন আমাদের রপ্তানির দিকে নজর দিতে হবে। আর রপ্তানি করতে হলে একটি শক্ত ভিত্তি দেশে গড়তে হবে।
‘ওষুধ শিল্পে রপ্তানি বাড়াতে হলে বিদেশ থেকে আনা কাঁচামালের ওপর ডিউটি ফি কমাতে হবে। দেখা যায় একটি দেশে আমরা চাইলেই রপ্তানি করতে পারছি না। ওই দেশে নির্দিষ্ট ওষুধ ও কোম্পানির নাম রেজিস্ট্রেশন করার পরই আমরা রপ্তানি করতে পারি। তাই এসব সমস্যা সমাধানে আমাদের এবং সরকারকে আরও কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি আয়োজিত এ এক্সপো চলবে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এক্সপো খোলা থাকবে।
এবারের এক্সপোতে আমেরিকা, জাপান, চীন ও ভারতসহ মোট ৩৫টি দেশের ৫শ ওষুধ কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। আয়োজনে রয়েছে ফার্মা প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, বায়োটেক ল্যাব ইকুইপমেন্ট, এপিআই ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্টস ও মেশিনারিজ, ফার্মা ফর্মুলেশন্স ও কন্ট্রাক্ট ম্যানুফেকচারিং।
এতে দেশি উদ্যোক্তারা ওষুধ শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রাপাতি, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল সম্পর্কে জানতে পারবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মাকেল এমপি, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমএ/এএ