মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ কথা জানান তিনি।
রাষ্ট্রায়ত্ত সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ‘রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিকায়ন’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উত্থাপন করা হয়।
তবে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
দেশের সকল বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা এবং পৌরসভায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সকল শাখায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। ব্যাংকিং কার্যক্রমের স্বয়ংক্রিয়করণ এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হতো এর মাধ্যমে।
প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ‘বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং’ এ সহায়তা করা। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর আইটি অবকাঠামো ও সাইবার নিরাপত্তার আধুনিকায়ন করা। সাইবার নিরাপত্তার জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারসহ আইসিটি সরঞ্জাম কেনা।
একনেক সভা সূত্র জানায়, ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা ব্যয়ে এক হাজার ১৮৫ কোটি টাকা ঋণ দিতে চায় বিশ্বব্যাংক। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার কাজে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শকও নিয়োগ দিতে হবে। ফলে ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্বব্যাংকের পরামর্শকের হাতে চলে যেতে পারে।
ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়টি অন্য কারো হাতে যেন না যায়, সেজন্য প্রকল্পটি আটকে দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে এ অর্থ অন্য কোনো প্রকল্পে ব্যয়েরও নির্দেশ দেন।
প্রকল্পটির অনুমোদন না দেওয়া প্রসঙ্গে সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় বলে দিয়েছেন, দেশের ব্যাংকের নিরাপত্তা নিজেদের কাছেই থাকবে। নিরাপত্তায় বাইরের কাউকে ইনভলব করা হবে না। তবে বিশ্বব্যাংকের টাকা অন্য প্রকল্পে ব্যয় করতে বলেছেন। অন্যদিকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সকল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সকল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন’।
একনেকে ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস একই নকশায় নির্মাণ করতে হবে।
৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি বাড়ি-ঘর বেহাত হতে পারে না। যতোবার কোর্টে যাওয়া প্রয়োজন, ততোবার যেতে হবে। বেহাত হওয়া সরকারি বাড়ি পুনর্দখল করে সকল সরকারি কর্মকর্তার আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর