ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন চালু করতে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
‘ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন চালু করতে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত’

ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) ট্রেড ইউনিয়ন চালুর বিষয়ে সরকার বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
 
 

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সচিবালয়ে জার্মানের রাষ্ট্রদূত থমাস পিনজ এর সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
 
বৈঠকে জার্মানের রাষ্ট্রদূত ইপিজেডগুলোতে আইএলও’র আদলে ট্রেড ইউনিয়ন চালুর দাবি জানায় বলে জানান মন্ত্রী।


 
তিনি বলেন, একটা প্রশ্ন নিয়ে তারা আলোচনা করেছে, ইপিজেডে শ্রমিক ইউনিয়ন নিয়ে, ইপিজেডে যাতে শ্রমিক ইউনিয়নটা আইএলও স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে হয়।
 
বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন চালু করা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। সেখানে শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিও থাকবেন। আমরা বিচার বিশ্লেষণ করবো।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী যারা ইপিজেডে বিনিয়োগ করেছেন তাদের সঙ্গে অঙ্গীকার ছিল এখানে ট্রেড ইউনিয়ন হবে না। ট্রেড ইউনিয়ন না হলেও এখানে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামে যে সংস্থা আছে, ট্রেড ইউনিয়নের মতোই তাদের বার্গেনিং ক্যাপাসিটি আছে। মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সরকারপক্ষ একসঙ্গে বসে কোনো বিরোধ দেখা দিলে তারা নিষ্পত্তি করবে। এটাকে যদি আইএলও’র নিয়মানুসারে ট্রেড ইউনিয়নের মতোই করতে হয়, সে বিষয়টা আমরা আলোচনা করবো।
 
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, আমাদের মোট রফতানির ৫৫ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যায়। তারা অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। এ সুবিধা যাতে কখনও ব্যাহত না হয় আমাদের সেই প্রচেষ্টা থাকবে।
 
বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো কারখানায় কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলে জানান মন্ত্রী।
 
কারখানার পরিবেশে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের কারখানার অনেক অনেক উন্নতি হয়েছে। ওয়ার্কার্স সেফটি, ইলেট্রিক্যাল সেফটি, স্ট্রাকচারাল ইন্টিগ্রেটি অব দ্য বিল্ডিং সবকিছুতেই আমরা উন্নতি করেছি। তার প্রমাণ রানা প্লাজা ধসের চার বছর পার হয়েছে।  

অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্স ও সরকার মিলে তিন হাজার ৮০০ কারখানা এরইমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এরমধ্যে ৩৯টি কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ, ৪৭টি আংশিক বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার পরিমাণ ২ শতাংশের অনেক কম। আন্তর্জাতিক বিশ্বে ঝুঁকিপূর্ণের হার ২ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের ১ শতাংশের বেশি। তার মানে এটা ভালো। অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুনে শেষ হবে এরপর আমাদের নিজস্ব দায়িত্ব পালন করবো।
 
আগামী ১৭ মে টিকফা (আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম) এবং ১৮ মে সাস্টেনেবিলিটি কমপ্যাক্ট অর্থাৎ শ্রম আইন নিয়ে আগামী ১৮ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান মন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।