রোববার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘ক্যাটালাইজিং সোশ্যাল ডায়ালগ ইন দ্য আরএমজি সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় শ্রমিক নেতারা এ দাবি তোলেন।
সাভারের রানা প্লাজা ধসের চার বছর উপলক্ষে সিপিডি এ সংলাপের আয়োজন করে।
তৈরি পোশাক খাতে দুর্বল পরিবেশে সামাজিক সংলাপের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই শ্রমিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান বলেন, রানা প্লাজায় আহত শ্রমিকদের ৫ শতাংশ কাজে ফিরেছেন। তবে কারখানায় প্রবেশ করতে এবং বের হতে তারা ভয় পান। এজন্য তাদের কাউন্সিলিং করা প্রয়োজন। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মামলা হলেও বিচার শেষ হয়নি। ক্ষতিপূরণের একটি মানদণ্ড থাকা উচিত। একইদেশে ইপিজেড এলাকার জন্য অালাদা আইন চাইনা।
শ্রমিক নেত্রী নাজমা আক্তার বলেন, ট্রেড ইউনিয়নে নারী নেতৃত্ব আনতে হবে। বিদ্যমান সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বাস্তবায়ন করতে হবে।
আশিক আলম বলেন, শ্রমের মর্যাদা না দিলে কোনো কিছুই করা সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হওয়ায় শ্রমের মর্যাদা দেওয়া হয় না। দেশের অন্য শিল্প-কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের সবধরনের সুবিধা দেওয়া হলেও পোশাক শ্রমিকদের দেওয়া হয় না। শ্রমিক-মালিক সর্ম্পক মর্যাদাপূর্ণ না হলে এদেশে কারো সমস্যারই সমাধান হবে না।
কামরুল আলম বলেন, রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তরা আইনগতভাবে ক্ষতিপূরণ পায়নি। ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার সংবিধানে থাকলে বাস্তবে তা করতে দেওয়া হয় না।
বাবুল আকতার বলেন, মিটিং-মিছিল, সভা-সেমিনার যতই হোক আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়ন করতে হলে রানা প্লাজা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আশুলিয়ায় সোশ্যাল ডায়ালগের নামে ডেকে নিয়ে শ্রমিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এসই/জেডএস