অথচ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের নয় মাস শেষ হলেও এ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির এক আনাও খরচ হয়নি। হাতে আর মাত্র তিন মাস সময় থাকলেও এ বিষয়ে কোনো সফলতা নেই।
স্রেডা’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা দু’টিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুতায়নে ইতোমধ্যে ইডকল (ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড) ও বেসরকারি খাতের অন্যান্য উদ্যোক্তা কার্যক্রম শুরু করেছে। এ পর্যায়ে এ দায়িত্ব বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে দেওয়া হলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবে’।
এটির পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের নয় মাসেও (জুলাই-মার্চ) মোট ২৯টি প্রকল্পে এডিপি বরাদ্দের এক আনাও খরচ করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। এসব প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি শূন্য। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, বর্তমানে এডিপি’তে বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার মোট ১১৫টি প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ১৭ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মার্চ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা, যা মোট এডিপি বরাদ্দের ৫৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সময় হাতে আছে মাত্র তিন মাস, অথচ বাকি ৭ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা এখনও খরচ হয়নি। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হওয়া প্রকল্প মাত্র ১১টি, ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অগ্রগতি হওয়া প্রকল্প ৩০টি এবং ৬০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হওয়া প্রকল্প ১৮টি।
সম্প্রতি এসব প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনা শাখা-৩ এ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বরাদ্দ থাকা সত্বেও ১৪টি প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি শূন্য হওয়ায় বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে সংস্থা প্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে জোর জোর প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দেন। বরাদ্দের শতভাগ ব্যয় নিশ্চিতকরণে অর্থবছরের বাকি তিন মাস নিরলস প্রচেষ্টা চালাতেও সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিছু প্রকল্পে বরাদ্দ ছিলো না। যে কারণে আমরা খরচ করতে পারিনি। আবার বরাদ্দ থাকা সত্বেও কিছু প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ার প্রধান কারণ, পিএ (প্রকল্প সাহায্য) অর্থায়ন। বৈদেশিক অর্থায়নের টাকা খরচে বিভিন্ন ধরনের শর্ত থাকে। শর্ত মেনে টাকা খরচ করতে অনেক সময় লাগে। তারপরও ২৯টি প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের সভা করছি। কিছুদিন পরে আবারও সভা অনুষ্ঠিত হবে। কিভাবে ওই ২৯টি প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়, সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেবো’।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এমআইএস/ এএসআর