রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় মাংস ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটি।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, বাজারে এখন ৫০০ ও ৮০০ টাকায় যথাক্রমে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে। চড়া দাম হওয়ায় মানুষ গরু ও খাসির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। মাংসের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা শত শত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না। এর ফলে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এ অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা এক হয়েছি। সরকারকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিচ্ছি, এর মধ্যে দাবি না মানা হলে পহেলা রমজান থেকে কর্মবিরতিতে যাবো। রমজান মাসে মানুষের ভোগান্তি হোক তা আমরা চাচ্ছি না। তাই সরকারে কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। না হলে বাধ্য হয়ে আমাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করতে হবে।
দাবিগুলো হলো- মাংসের দাম ৩০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে, গাবতলী হাটের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, ট্যানারি শিল্প বন্ধ নয় স্থানান্তরিত করতে হবে, সরকারিভাবে জবাই খানা নির্মাণ করতে হবে, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতিকে ঢেলে সাঁজাতে হবে ও বর্ডার থেকে দেশীয় বাজারে গরু আনতে যে চাঁদাবাজি হয় তা বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এমএ/জিপি/এসএইচ