রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
মসুর ডাল দেশি (ছোট দানা) বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা।
বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার, আর খোলা সয়াবিন ৮৪ টাকা কেজি (লিটার-৭৮ টাকা) এবং সুপারপাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকা কেজি দরে।
মসুর ডালের এই দাম গত ১৫ দিন ধরে একই চলছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের পাইকার কুমিল্লা স্টোরের মো. সাগর। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ডালের দাম গত এক মাস ধরে একই রকম রয়েছে। শুধু ছোলার দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। ডালের দাম না বাড়লেও রোজার আগে বাড়তে পারে। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, দেশি হাইব্রিড ৮০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান হাইব্রিড ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি তেল বিক্রেতা মনির এন্টারপ্রাইজের মোতালেব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তেলের দাম গত এক মাস ধরে একই রকম চলছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম বাড়বে বলে ডিলাররা বলে গেছে। বোতলজাত তেলের দাম বাড়লে খোলাটাও বাড়তে পারে।
কারওয়ান বাজারে খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮৪ টাকা আর লিটার বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা দরে। তবে রাজধানীর অন্যান্য বাজারে এই তেলই বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাশেই হান্নান জেনারেল স্টোরে রূপচাদা ৫ লিটার বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ৫১০ টাকা দরে। আর ফ্রেশ বোতলজাত তেল ৫ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৪৮৫ টাকা দরে। বোতলজাত তেলের ক্ষেত্রে গায়ের দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি বাজারে।
কারওয়ান বাজারে রূপচাঁদা তেলের ডিলারের দেওয়া তথ্য মতে প্রতি লিটার ৯৮ টাকা দর ধরে বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে বিক্রেতারা গায়ের দাম ধরে বিক্রি করে থাকেন। অনেকে আবার দুই এক টাকা কমেই বিক্রি করেন বলেও জানান রূপচাদার ডিলার মোস্তফা।
বিক্রেতাদের তথ্যানুযায়ী এই মুহূর্তে তেলে বা ডালের দাম না বাড়লেও রমজানের ১০/১৫ দিন আগে ঠিকই বাড়তে পারে। এমন আভাস দিচ্ছে পাইকারি বিক্রেতারা। বিশেষ করে শবে-ই-বরাতের পর থেকেই বাজার চড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ