ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভূমিহীনদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
ভূমিহীনদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে কতজন পরিবার ভূমিহীন রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করতে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি পরিবারও আশ্রয়হীন থাকবে না। সবার জন্য আমরা বাসস্থানের ব্যবস্থা করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু খাস জমি নয়, দরকার পড়ে সরকারি অর্থায়নে জমি কিনে ভূমিহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেবো। সারা দেশের ভূমিহীনদের তালিকা প্রস্তুত করে সেই অনুযায়ী আমরা নতুন করে উদ্যোগ নেবো।

মঙ্গলবার (০২ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবারের একনেক সভায় ‘আশ্রয়ন-২’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২ হাজার ২০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার ভূমিহীন ছিন্নমূল, গৃহহীন ও অসহায় জনগোষ্ঠীর ঘর নির্মাণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

তবে প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে কয়েক ধাপে ৪ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। মোট দুই লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে এই সুবিধা দেয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার ভূমিহীনের ঘর ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। জুলাই ২০১০ সাল থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৯ সাল পর্যন্ত।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ নভেম্বর নোয়াখালী জেলার রামগতি থানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারি খাসজমিতে প‍ুনর্বাসন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

তারই আলোকে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায় ৪টি গুচ্ছগ্রামে ১৪৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে আদর্শ গ্রাম নামে ভুমিহীনদের প‍ুনর্বাসন কাজ অব্যাহত থাকে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো গৃহহীন মানুষগুলোকে গৃহসংস্থান এবং কর্মসংস্থান করে মূল উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা। প্রকল্পের আওতায় দুই ধরনের ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রথমত আরসিসি পিলার দিয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ৩শ’ বর্গফুট মেঝের ঘর ও ৫ রিং বিশিষ্ট স্যানিটারি ল্যাট্রিন। অপরটি প্রতি দুই পরিবারের জন্য ২৯৪ বর্গফুট বিশিষ্ট একচালা সেমিপাকা টু-ইন-ওয়ান হাউস নির্মাণ করা হবে।

আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। আশ্রয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এছাড়াও একনেক সভায় ৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি হাওর এলাকায় বাস্তবায়িত হবে। যেখানেই বাঁধ অথবা কোনো সড়ক নির্মাণ করা হবে সেখানেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হেতেমদী থেকে সাগরদী বাজার পর্যন্ত সড়ক উন্নীতকরণ করা হবে। ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

‘বাগেরহাট-চিতলমারী-পাটগাতী মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১১২ কোটি টাকা। এটিসহ একনেকে ৫ হাজার ৭১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।