ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির দাম চড়া, মাছ-মাংস অপরিবর্তিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬:১৫, মে ৫, ২০১৭
সবজির দাম চড়া, মাছ-মাংস অপরিবর্তিত কাঁচাবাজারে সবজির দোকান

ঢাকা: পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় দেশে বিপুল পরিমাণ ফসলের মাঠ ডুবে সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় গত সপ্তাহ থেকেই বাজারে সবজির মূল্য চড়া। এর প্রভাবে পড়েছে কাঁচাবাজারে, বেড়েই চলছে সবজির দাম। এর সঙ্গে চলতি সপ্তাহে চালের দামও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর হচ্ছে মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুক্রবার (০৫ মে) রাজধানীর শুক্রাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম রাজা বাজারে কাঁচাবাজার ঘুরে দ্রব্যমূলের এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যেসব সবজির মূল্য বেড়ে গিয়েছিল সেগুলোর দাম এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।

এর সঙ্গে নতুন করে বেশ কয়েকটি সবজির দামও গিয়েছে বেড়ে। প্রতি কেজি পেঁপের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা কিন্তু চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া ঢেড়শ দাম ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকায়, বরবটি ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা ও শসা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যেখানে একটি জালি লাউ বিক্রি হতো ৩৫ টাকায় তা এখন বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ঊর্ধ্বমূল্যে বিক্রি হচ্ছে টমেটো, পটল ও বেগুন।

চালের দামেও এই সপ্তাহে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহে যেখানে এক কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকায় তা এ সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকায়। এছাড়া বিআর ২৮ চাল ৪২ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা এবং  স্বর্ণা (মোটা চাল) ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির দামেও ঊর্ধ্বগতি চলমান রয়েছে।

সবজি ও চালের বাজারে ঊর্ধ্বগতি থাকলেও মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগী ১৬০ টাকা থেকে কমে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি ২৬ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।

চাল ও সবজির বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যায় সবজির ক্ষেত ডুবি যাওয়ায় এবং হাওরের ধান নষ্ট হওয়ায় চাল ও সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে। অনেক খুচরা বিক্রেতারা বলছেন চালের দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী। তারা কৃত্রিম চালের সঙ্কট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

পশ্চিম রাজাবাজারের দোকানি মিজান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, যে সব ব্যবসায়ীরা চাল মজুত করে ব্যবসা করে তাদের জন্য দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তারা এখন দেখছে যে বানের পানির কারণে হাওরের সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে চালের সঙ্কট হতে পারে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

পূর্ববাজারের সবজি বিক্রেতা মো. ইভান বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বেশি দামে কিনছি তাই বিক্রিও বেশি দামে  করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এমএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।