শনিবার (১৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে বাজেট সংশ্লিষ্ট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মুহিত বলেন, ‘সাইজ অব দ্য বাজেট ইজ গোয়িং টু বি মোর দ্যান ৪ লাখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বাজেট এই মেয়াদের শেষ কার্যকরী বাজেট। নেক্সট বাজেটে কাউকে অখুশি করা হবে না। আমি মনে করি প্র্যাকটিক্যালি শেষ কার্যকরী বাজেট ইন মাই লাইফ।
সেই দিক থেকে আপনারা আমাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিবেন। কারণ আপনারা অর্থনীতি নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকেন। এই সরকার মোটামুটি ভাবে মিডিয়ার মতামতকে সাড়া দিয়ে আসছে।
হুন্ডিতে রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে চার্জ না নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমিকদের বেতন কমানো হয়েছে। অনেক শ্রমিক যা আয় করেন নিজের কাছে কিছু রেখে দেন। আগে সবই দেশ পাঠাতেন বলে জানান মুহিত।
মন্ত্রী বলেন, টাকা পাচার হচ্ছে জানি। টাকা পাচারের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আমরা একটা ল্যান্ড প্রাইস ফিক্সড করে দেই কিন্তু একচ্যুয়াল প্রাইস অনেক বেশি হয়। এই টাকা কী করবে, এটা এ দেশে ব্যবহার করতে পারে না কারণ কালো টাকা। আমরা এখন চিন্তা করছি, কোনো ল্যান্ড প্রাইস রাখবো না। দাম বাজারই নির্ধারণ করবে। এটা টাকা পাচার প্রতিরোধে কাজ করবে।
শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক সৃষ্টির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন জানিয়ে মুহিত বলেন, এজন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সংস্কার হচ্ছে। আগামী বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
আদায় বাড়াতে যাদের ভালো গাড়ি ও বাড়ি রয়েছে তাদের ট্যাক্স নির্ধারণ করে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন, সুলতান মাহমুদ, সদস্য রেজাউল করিম বায়রন, শাহনেওয়াজ, শহীদুজ্জামান, কামরুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম হারুন, রিজভী নেওয়াজ, সালাউদ্দিন বাবলু, দৌলত আকতার মালা প্রমুখ।
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭/আপডেট ১৭৩৮
এসই/বিএস