হরেক রকম ঘোষণা ও পণ্য সামগ্রী নিয়ে সাভার নিউ মার্কেট, সাভার সিটি সেন্টার, রাজ্জাক প্লাজা, উৎসব প্লাজাসহ বিভিন্ন বিপনী বিতান গুলো তাদের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের উপহারের সমাহার ঘটিয়েছে। মার্কেটগুলোর সামনেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে আকর্ষণীয় সব উপহার সামগ্রী।
গাড়ি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, ওভেন কোনো কিছুরই যেন ঘাটতি নেই। আছে বিদেশ ভ্রমণের জন্য বিশেষ প্যাকেজ। মোট কথা ঘর সাজানো থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সবকিছুই উপহার হিসেবে থাকছে আগত ক্রেতাদের জন্য।
সর্বনিম্ন ৫শ’ টাকার কেনাকাটা করলেই মিলছে একটি কুপন। আর তাতে নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর লিখে ফেলতে হয় নির্দিষ্ট কাচের বাক্সে। এছাড়াও বিভিন্ন দোকান গুলোতে চলছে ছাড়ের মহোৎসব।
এদিকে ছোট-বড় সব ধরনের দোকানেই ঈদ উপলক্ষে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত বিক্রয়কর্মী। আগত ক্রেতাদের ডেকে ডেকে তাদের দোকানের সুবিধা ও পণ্যের গুনগত মানের কথা বলায় ব্যস্ত তারা।
এদিকে ক্রেতাদের চাপ বাড়ায় বাতিল করা হয়েছে বিপণি বিতান গুলোর সাপ্তাহিক ছুটির দিন। প্রতিটা মুহূর্ত যেন তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটি মার্কেটসহ বিপণি বিতানগুলো লাল-নীল-হলুদ হরেক রকম বাতি দিয়ে মোড়ানো। সন্ধ্যার পর থেকেই এসব বাতিগুলো বিপণি বিতানসহ এর আশপাশের এলাকা আলোকিত করে চলেছে।
বাবু নামের এক দোকানি বাংলানিউজকে বলেন, এখনো বেচাবিক্রি তেমন জমে নাই। বেতন বোনাস পাওয়ার পরই সবাই কেনাকাটা করবে। তবে সরকারি চাকরিজীবীরা কিছু কিছু কেনাকাটা করছে। আমরা বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় আমদানি করেছি, আশাকরি ক্রেতাদের পছন্দ হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্যাশনেবল পোশাক আমরা সংগ্রহ করে থাকি, আবার দামও সবার সাধ্যের মধ্যে।
আশা করছি আগের বারের তুলনায় এবার বেচা-বিক্রি আরো ভালো হবে- যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
এসআরএস