ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাল আমদানিতে আরো ৫ শতাংশ শুল্ক কমছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
চাল আমদানিতে আরো ৫ শতাংশ শুল্ক কমছে

ঢাকা: চাল আমদানি শুল্ক আরও ৫ ভাগ কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অতি শিগগিরই এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রণালয়।

এরআগে চাল আমদানিতে সরকার নির্ধারিত শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এখন প্রজ্ঞাপন জারির পর চাল আমদানিতে রপ্তানিকারকদের শুল্ক দিতে হবে মাত্র ৫ শতাংশ।

এই নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চাল আমদানি শুল্ক ২৩ শতাংশ কমাতে যাচ্ছে সরকার।
 
চলতি বোরো মৌসুমের আগে হাওরে আগাম পাহাড়ি ঢল, চলনবিল অঞ্চলে আগাম বন্যা ও চিটারোগে ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরই সঙ্গে মিল মালিকদের সিন্ডিকেটে মোটা চালের বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। এতে কেজি প্রতি ১০ টাকারও বেশি দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিতে ১৮ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ছিল সরকার।

তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দাবি করা হয়, চাল আমদানি হলে কেজি প্রতি ৬ টাকা দাম কমবে। কিন্তু ভারত এ সুযোগে প্রতিটনে ৬০ ডলার দাম বাড়ানোয় দাম কমে মাত্র ২-৩ টাকা। সম্প্রতি চিকন ও মাঝারি মানের চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সরকার নতুন করে চাল আমদানিতে আরও ৫ শতাংশ শুল্ক কমালো বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও চাল আমদানি কারকদের বাকিতে এলসি খোলার ও সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এরইমধ্যে সরকারি ভাবে ৬ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সরকারিভাবে বিনা শুল্কে এই চাল আমদানি হচ্ছে।   ভিয়েতনাম থেকে এবছরই আড়াই লাখ টন চাল এসে পৌঁছাবে। এছাড়াও গত সপ্তাহে নমপেন সফরের সময় কম্বোডিয়া থেকে ৫ বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এছাড়ও থাইল্যান্ড ও ভারত থেকেও সরকারিভাবে চাল আমদানির আলোচনা চলছে।
 
এরআগে মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে সংসদ ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি  মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মোতাহার হোসেন, এনামুল হক, আ ক ম বাহাউদ্দীন, ছানোয়ার হোসেন, লায়লা আরজুমান বানু এবং হাছান ইমাম খান অংশগ্রহণ করেন।
 
টিসিবির পণ্য জেলা ও উপজেলায় আরো সম্প্রসারণের জন্য নতুন করে টিসিবি’র ডিলার নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। টিসিবির পণ্য মানুষ সহজে পেতে পারে সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের  সচিবসহ  মন্ত্রণালয় ও  জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
আরএম/এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।