শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল ৭টা, মিরপুর-১০ নম্বর কাঁচা বাজারের সৌখিন সবজি বিক্রেতা সালাম এসেছেন সবজি কিনতে। কিন্তু বৃষ্টিতে বাধা পেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের নিচে।
কী সবজি কিনবেন? প্রশ্ন শেষ হতে না হতেই তার উত্তর- “আমি সাভারের সবজি ছাড়া অন্য কোনো সবজি কিনিও না বেচিও না। ” বলে রাখা ভালো, মিরপুরের সবচেয়ে বড় এই পাইকারি বাজারে রাজশাহী, পাবনা, যশোর, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি আসে। তবে এই কাঁচাবাজারের পশ্চিম অংশে সাভার, বিরুলিয়া, হেমায়েতপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে আসা সবজির পসরা বসে।
সালাম জানালেন, ছুটির দিন সকালে তাজা সবজির চাহিদা অন্য দিনের থেকে একটু বেশিই থাকে। এবং তার দোকানে সাভারের সবজি ছাড়া অন্য সকজিও বিক্রি হয় না। তার কাস্টমাররাও সাভারের সবজিই পছন্দ করেন। দামটা একটু বেশি পড়ে এখানকার সবজির।
এ বাজারে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে আসা সবজির থেকে সাভারের সবজির দাম বেশি। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানালেন, তাজা সবজি সবাই একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও কেনেন। সাভার-বিরুলিয়ার সবজির কদর একটু বেশি।
তবে এখানকার পাইকারি বাজার থেকে কিনে মিরপুর বা এর আশপাশের খুচরা বাজারগুলোতে যারা বিক্রি করেন তারা বেশি লাভ করেন। এখান থেকে যে ধুন্দুল পাইকারি দরে কেনা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৫ টাকায়, সেই একই ধুন্দুল খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। অথচ সব খরচ যোগ করলেও প্রতি কেজির দাম এতটা বাড়ার কথা নয়।
একই অবস্থা কাকরোল, ভেন্ডি, করলা, চিচিঙ্গা, বরবটির দামেও। পাইকারি বাজারের ৩৫ টাকার কাকরোল খুচরা বাজারে ৫০-৬০ টাকা, ৩০-৩২ টাকার ভেন্ডি ৫৫-৬০ টাকা, ৩৫ টাকার পটল ৫০ টাকায় বিক্রি হয় খুচরা বাজারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এসএইচ/এমজেএফ