রংপুরের প্রধান প্রধান বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, গত ১৫ দিনে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে কাঁচাবাজারে যেন আগুন লেগেছে।
রংপুরের সিটি বাজারে বাজার করতে আসা নগরীর শালবন এলাকার নুরুল আমীন বলেন, কাঁচাবাজারে যেন আগুন লেগেছে। দিন দিন দাম বেড়েই চলেছে। প্রতিটি সব্জির কেজিতে ১০-২০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কাঁচামাল বিক্রেতা টিটু ও বাবলু জানান, অতিবৃষ্টির কারণে সব্জির আমদানি কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে মাংসের বাজার ঠিক থাকলেও মাছের বাজার বেশ চড়া। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ টাকা ও খাসির মাংস ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।
কোনো কোনো মাছে কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টাকারও বেশি। প্রতি কেজি ইলিশ ১০০০ টাকা, রুই ২৮০, টেংরা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের আড়তদার বিজয় দাস জানান, অতিবৃষ্টির কারণে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না। এ কারণে মাছের আমদানি কমে যাওযায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রংপুরে মাছে কোনো ফরমালিন ব্যবহার করা হয় না বলেও জানান তিনি।
এদিকে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে চাল ও তেলের দাম। কথা হয় চাল ক্রেতা মিলন মিয়ার সাথে। তিনি জানান, সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহ আগে যে চালের কেজি ৫০ টাকা ছিল এখন তা ৫৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
চাল বিক্রেতা রবিউল ইসলাম জানান, প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৫৪ টাকা আর পোলাও চাল ৮৫-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে আগের চেয়ে পোলাওয়ের চালের প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান এই বিক্রেতা।
এছাড়া সয়াবিন তেলের প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তেল বিক্রেতা ইউনুস আলী। তবে তেলের দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানেন না এই বিক্রেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘন্টা, ১১ আগস্ট, ২০১৭
এমজেএফ