ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মানিকগঞ্জে সবজির আমদানি কম, চাহিদা বেশি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
মানিকগঞ্জে সবজির আমদানি কম, চাহিদা বেশি মানিকগঞ্জে সবজির আমদানি কম, চাহিদা বেশি। ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: সবজির ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত মানিকগঞ্জ। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় হাট-বাজারে সবজির আমদানি কমেছে।

নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে যায় মানিকগঞ্জের সবজি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছে এখন নিজ জেলার চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে সবজি চাষিরা।



শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন সবজির হাটে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার অন্যতম দুইটি সবজির হাট গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। এ দুইটি সবজির হাটে প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ লাখ টাকার সবজি আমদানি হতো যা স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হয় রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায়।

গোলড়া সবজি হাটের ইজারাদার এম এম রাজ্জাক হোসেন বাংলানিউজে বলেন, বর্তমানে হাটে এখন প্রতিদিন মাত্র ৫০- ৬০ হাজার টাকার সবজি আমদানি হয়। মানিকগঞ্জে সবজির আমদানি কম, চাহিদা বেশি।  ছবি: বাংলানিউজ
আমদানি কমে যাওয়ায় দামও বেড়েছে দ্বিগুন। হাটে চাহিদা অনুযায়ী সবজি আমদানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।

এদিকে মানিকগঞ্জের হাট- বাজারে প্রতিকেজি সবজি বিক্রি হচ্ছে- ঢেঁড়স ৩২ – ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪৫ টাকা, বেগুন ৪০-৪২ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা, পেঁপে ২০- ২২ টাকা, ঝিঙা ৩০- ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১১০-১২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩৫-৫৫ টাকা, জালি ২০- ৩০ টাকা, কচু ২০- ৩৫ টাকা, পুইশাক প্রতি আটি ২০-২০ টাকা, লাল শাক ৮- ১০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৩০ - ৩৫ টাকা, কচুর মুখী ২০ -২২ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা।

সাটুরিয়ার খুচরা সবজি ব্যবসায়ী মান্নান মিয়া জানান, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি থাকায় খুচরা বিক্রিতে তেমন লাভ নেই। মানিকগঞ্জে সবজির আমদানি কম, চাহিদা বেশি।  ছবি: বাংলানিউজ
সাভারের বাইপাইল এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আনছের মিয়া বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টি হলে সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৩ - ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী সবজির আমদানি কম থাকার কারণে দাম বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।

সাটুরিয়ার কামতা এলাকার সবজি চাষি আনোয়ার মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, চার বিঘা জমিতে ঢেঁড়সের আবাদ করে ছিলাম। ক্ষেতে পানি উঠে তিন বিঘা জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন এক বিঘা জমির কিছু ঢেঁড়স বিক্রি করেছি। তবে ঢেঁড়সের দাম বেশি থাকার পরেও সবজি চাষে এবার লোকসান।

বরংগাইল হাটের মরিচ ব্যবসায়ী উজ্জল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, মরিচের সিজনে প্রতিদিন হাটে ৫ -৭ শত মণ মরিচের আমদানি হতো। কিন্তু বেশিরভাগ চাষির মরিচ ক্ষেতে বর্ষার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সপ্তাহের দু’দিনে হাট বসে। এখন প্রতি হাটে মাত্র ২০-২৫ মণ মরিচের আমদানি হয় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।