বুধবার (২৩ আগস্ট) বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটিতে এ মামলা করেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মুলিদা খাতুন নামের এক নারী। তিনি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির গ্রাহক কাশেম আলীর স্ত্রী।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইডিআরএ’র দায়িত্বে থাকা অফিসার হামিদ বিন হাসান। তিনি বলেন, দাবি উত্থাপনের পর পলিসি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তারিখ পরিবর্তন করে দাবি নাকচ করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। যা অনৈতিক কাজ। তাই অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল চেয়ে মামলা করেছে তিনি।
হক কাশেম আলীর স্ত্রী’র অভিযোগ বলা হয়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কাশেম আলী শেখ সানফ্লাওয়ারে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি পলিসি করে।
এরপর বিমা কোম্পানি থেকে ২০১৩ সালের ৩০ মে স্বাক্ষরিত প্রথম প্রিমিয়াম রিসিপ্ট (এফপিআর) দেয়া হয়। এ রশিদে লিখিত তথ্য অনুসারে ১২ মে ২০১৩ সাল থেকে পলিসি (কমেন্সমেন্ট) এবং ঝুঁকি গ্রহণ শুরু হয়। পলিসিতে নমিনি করা হয় মুলিদাকে।
তার মাত্র এক মাসের পর বিমা গ্রাহক কাশেম আলী শেখ ২০১৩ সালের ১ জুন মারা যান। এরপর বিমা কোম্পানির কাছে দাবি উত্থাপন করি। কিন্তু অনেকদিন হয়ে গেলেও বিমা কোম্পানিটি দাবিটি পরিশোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এরপর স্বামীর মৃত্যু দাবি চেয়ে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে আবার আবেদন করি। কিন্তু অসাধু উপায়ে আগের তারিখ দেখিয়ে পলিসিটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে দাবিটি প্রত্যাখ্যান করে কোম্পানি।
অথচ বিমা কোম্পানিটির দেওয়া পাকা কাগজপত্রে সবগুলো তারিখ ঠিকমতো রয়েছে। কাজেই দাবি উত্থাপনের পর পলিসিটির বিভিন্ন তারিখ নিজেরাই পরিবর্তন করে সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি দাবির টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করার অপকৌশল করছে।
তাই ন্যায্য দাবি পেতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটিতে অভিযোগ করছি। একই সঙ্গে পলিসির তারিখ পরিবর্তন করে গ্রাহকের টাকা মেরে দেয়ার মতো ঘৃণ্য কাজে জড়িত কোম্পানিটি ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামসুল আলম ফোন রিসিভ করেননি। এরপর ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ