ওই তহবিলের টাকা ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিতরণ করা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু ব্যাংকগুলোর অনীহার কারণে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মাত্র ৮৩ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তহবিলের বাকি অর্থ বিতরণের নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট)একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ মাস মেয়াদে ওই ঋণ বিতরণ করা যাবে।
জানা গেছে, বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান, পুষ্টি চাহিদা ও আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দুধের চাহিদা পূরণের জন্য এই তহবিল গঠন করা হয় ২০১৫ সালের জুনে। এই তহবিলে মেয়াদ ৫ বছর।
তবে গ্রাহকরা ঋণ পাবেন ৩ বছরে মেয়াদি। অর্থাৎ ৩ বছরের মধ্যে সুদসহ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদের হার ৫ শতাংশ। ঋণ বিতরণের পর ব্যাংকগুলোর আরও ৫ শতাংশ সুদ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দাবি করতে পারে। সরকার ওই সুদের অর্থ ব্যাংকগুলো ভর্তুকি হিসেবে দেবে।
ওই তহবিল থেকে একজন সর্বোচ্চ চারটি বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ২ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। প্রতিটি বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং লালনপালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। এই ঋণ ১৪ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৬ থেকে ৫৪ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ওই তহবিলের ৮৩ শতাংশ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ জুন পর্যন্ত ১৭৩ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন খামারিরা। ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, ব্র্যাক, আইএফআইসি, মিডল্যান্ড ও ন্যাশনাল ব্যাংক। এছাড়া কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক ও আইডিএলসি ওই তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়:২১২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এসই/জেএম